ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যে ভ্যারিয়েন্টই হোক, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
যে ভ্যারিয়েন্টই হোক, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) যেটাই হোক না কেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনার যে কোনো ধরনের বিরুদ্ধেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

যে কোনো ভাইরাস প্রতিনিয়ত তার রূপ বদলায়। কোনো ভাইরাস যখন পরিবর্তিত হয়, তখন ভাইরাসের সর্বশেষ ধরনটি পাওয়া যায়। আমাদের দেশে করোনার প্রথম দিকে পাওয়া গিয়েছিল আলফা ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্য (ধরন), এরপর পাওয়া গেল বিটা ভ্যারিয়েন্ট (দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন), এখন পাওয়া যাচ্ছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট (ভারতীয় ধরন)।

ভারতে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে দেশটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং মৃত্যু বেড়েছে কয়েকগুণ। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাইরাসটির এ ধরন পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকা থেকে সংগ্রহ করা ৬০টি নমুনার মধ্যে ৪১টিতেই ভারতীয় ধরন (ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট) পেয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি), যা মোট সংগৃহীত নমুনার ৬৮ শতাংশ।

এরইমধ্যে ভারতে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট স্পাইক প্রোটিন পরিবর্তন করে তার রূপ বদলে ফেলেছে। যে ভ্যারিয়েন্টকে দেশটিতে ‘ডেল্টা প্লাস’ বলা হচ্ছে।

বাংলাদেশে বিগত কয়েকদিন থেকে করোনার আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার উর্ধ্বমুখী। করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতির ফলে দেশবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ এবং আতঙ্ক। এমতাবস্থায় করোনা প্রতিরোধে করণীয় বিষয় জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন।

বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, ভাইরাসের ধর্মই হচ্ছে প্রতিনিয়ত মিউটেশনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করা। ভাইরাসের এসব মিউটেশনের মধ্যে দুই একটা বিপদজ্জনক হয়। সব ভ্যারিন্টের ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি সমানভাবে প্রযোজ্য। মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ইনডোর এবং আউটডোরে গণজমায়েত-সমাবেশ যদি রোধ করা যায় তাহলে ভ্যারিয়েন্ট যেটাই হোক না কেন, সেটা প্রতিরোধ করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ভ্যারিয়েন্ট বিষয়ে বেশি চিন্তা করার কারণ নেই। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসতেই থাকবে, এটা ঠেকানোর কোনো পথ নেই। কিন্তু আমরা চাইলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারি।

এ চিকিৎসাবিদ আরও বলেন, বর্তমান বাস্তবতায় হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য যে পরিমাণ ভ্যাক্সিনেশন করা দরকার, আমরা যেহেতু সেটা পারছি না, তাই আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করে পরিকল্পনা মোতাবেক যারা বয়স্ক এবং বিভিন্ন কোমরবিটি ডিজিজ রয়েছে, তাদেরকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। শহর বা গ্রামে হাট বাজারগুলোকে একটু দূরে দূরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গণজমায়েত রোধ করতে হবে, করোনায় যাদের উপার্জন নেই তাদেরকে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে করোনা প্রতিরোধে সফলতা আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
আরকেআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।