মানিকগঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশীয় টিকা উৎপাদন সময় সাপেক্ষ হলেও ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সরকার এ বিষয়ে খুবই আন্তরিক।
শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউএইচও যে তথ্য দিয়েছে তাতে মডার্নার ভ্যাকসিন আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে চলে আসবে। মডার্নার ভ্যাকসিন খুবই ভালো ভ্যাকসিন। মাইনাস ২০ ডিগ্রিতে রাখতে হয় সে ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে করা হচ্ছে। দেশে করোনার কারণে মৃত্যুর হার বেড়ে গেছে, সংক্রমণের হারও বেড়ে গেছে। তাই লকডাউন দিয়ে করোনা সংক্রমণের হার কমানো চেষ্টা চলেছে।
সোমবার (২৮ জুন) থেকে সাতদিনের জন্য সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় মানুষ জন প্রয়োজন ছাড়া ঘরে বাইরে বের হতে পারবেন না। করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির বাড়িতে আগের মতো লাল পতাকা উত্তোলন করা হবে, এতে সাধারণ মানুষ সচেতন হবে কোন ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি করেছিলাম কিন্তু পেয়েছি মাত্র ৭০ লাখ। আর তারা উপহার দিয়েছিল ৩০ লাখ এবং এখনো দুই কোটি পাওনা আছে। চায়নার সঙ্গে আমাদের দুই কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি আছে, সব মিলিয়ে ৬ কোটি ৮০ লাখ বুকিং দেওয়া আছে। সবাই যদি তাদের কমিটমেন্ট রক্ষা করে তাহলে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১ কোটি ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে। এতে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারবো। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে দেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে। চীনের সিনোফার্ম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সেখান থেকে খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন আসবে। সংখ্যাটা এই মুহূর্তে বলা না গেলেও একটা ভালো সংখ্যা হবে বলে আশা করছি। সেই সঙ্গে রাশিয়া ও চায়নাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আমাদের দেশে সরকারের সঙ্গে অথবা প্রাইভেট কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করার। তারা রাজি হলে এ ব্যাপারে ভ্যাকসিন তৈরির অনুমোদন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সরকার লকডাউনের উপর নির্ভরশীল হতে চায় না কিন্তু লকডাউন দিতে হয় বাধ্য হয়। যদি আপনার হাতে ভ্যাকসিন না থাকে তাহলে লকডাউনই করোনা সংক্রমণ রোধে একমাত্র কার্যকরী পন্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
এনটি