সিলেট: মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে সিলেটে আবারো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০২ জনে পৌঁছালো।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৬২ জন। তাদের ১৬৫ জনই সিলেট জেলার। এছাড়া মৌলভীবাজারের ৯৪ জন, হবিগঞ্জের ৩১, সুনামগঞ্জের ২৪ জন এবং ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ৪৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫০২ জনে পৌছালো। মারা যাওয়াদের মধ্যে সিলেট জেলারই ৪০৮ জন, সুনামগঞ্জের ৩৫, হবিগঞ্জের ২২ জন এবং মৌলভীবাজারের ৩৮ জন।
বুধবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯ জন মারা যাওয়া তথ্য দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৭জনই সিলেট জেলার। সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের একজন করে রয়েছেন। এছাড়া বুধবার দুপুরে সিলেটে করোনার বিশেষায়িত শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সৈয়দ নাফি মাহদি।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ৯৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ৭৪ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৯ জন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ১৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের এপ্রিল থেকে এ বছরের ৭ জুলাই পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২৭ হাজার ৭১৬ জন। এরমধ্যে শুধুমাত্র সিলেট জেলাতেই ১৮ হাজার ২৭৬ জন, সুনামগঞ্জে ৩ হাজার ১৫৭ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৯৫১ জন ও মৌলভীবাজারে ৩ হাজার ৩৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হন। পক্ষান্তরে সুস্থ হয়েছেন ২৪ হাজার ৩৪২ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ১৬ হাজার ৬১৬ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৮৫৮ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ১১৮ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৭৫০ জন।
বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪৯২ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৪৪৪ জন, সুনামগঞ্জে ২৩ জন, হবিগঞ্জে ৭ জন ও মৌলভীবাজারে আরো ১৮ জন।
এর আগে গত সোমবার কঠোর লকডাউন চলাকালেও করোনায় একদিন আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের সপ্তাহের একদিনে আরো ১০ জনের মৃত্যু দেখলো সিলেট।
এদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বাড়লেও মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা এখনো গড়ে ওঠেনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে অনেকে, মাস্ক কেবল ফ্যাশন হিসেবে থুতনির মধ্যে পরে রাখে। আবার প্রশাসনের লোকজন দেখলেই থুতনির মাস্ক নাকে ওঠে।
এ বিষয়ে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বাংলানিউজকে বলেন, লকডাউন হোক আর যাই হোক, বাইরে বেরোলেই যে কেউ অন্তত মাস্কটা যাতে সঠিকভাবে পরে রাখেন। মাস্ক সঠিকভাবে পরলে করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব! তাই মাস্ক সঠিকভাবে পরার বিষয়ে মানুষকে নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২১
এনইউ/এএটি