রাঙামাটি: পাহাড়ি জেলা রাঙামাটির দুর্গম এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দারা চলতি মাসের ১০ আগস্ট থেকে করোনা প্রতিরোধক টিকা পাবেন।
শুক্রবার (০৬ আগস্ট) রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন, রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, শনিবার (০৭ আগস্ট) থেকে রাঙামাটি জেলার সবকটি উপজেলা এবং পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে পরীক্ষামূলক টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রতি ওয়ার্ডে ২০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর ১০ আগস্ট আবারো একই ওয়ার্ডগুলোতে ওয়ার্ড প্রতি ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। এজন্য টিকা কেন্দ্রে আসার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) সঙ্গে আনতে হবে। আর যাদের এনআইডি কার্ড নেই তারা পৌরসভা/ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও সুরক্ষা অ্যাপসে যারা টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের এই কেন্দ্রগুলোতে আসার দরকার নেই। তারা এসএমএস পাওয়া নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে টিকা গ্রহণ করবেন।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা আরো জানান, জেলার সবচেয়ে দুর্গম উপজেলার মধ্যে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী কিছু দুর্গম এলাকা এবং বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলী ইউনিয়ন এলাকাগুলোতে হেলিকপ্টারে করে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা প্রদান করবেন।
এ ব্যাপারে হেলিকপ্টার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর কাছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ আগস্ট ওইসব দুর্গম এলাকায় টিকা কার্য পরিচালনা করা হবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে- শুক্রবার (০৬ আগস্ট) করোনার কোনো পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রাঙামাটি পিসিআর ল্যাব ও এন্টিজিনায় ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনের পজিটিভ আসে। আক্রান্ত ২৪ জনের মধ্যে রাঙামাটি সদর উপজেলায় ১৯ জন এবং নানিয়ারচর উপজেলায় ৫ জন। সংক্রমণের হার ১৭.৯৬ শতাংশ।
রাঙামাটিতে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৭৮ জন, সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৭৩ জন। রাঙামাটিতে মোট মারা গেছেন ৩০ জন। জেলায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৬৯২ জন। করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৯১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯ হাজার ১৩৭ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২১
আরএ