খুলনা: খুলনায় জহুরা বেগম (৭৩) নামে এক বৃদ্ধাকে দু’বার করোনা টিকা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাফিজুর রহমান ঈদগাহ ময়দান টিকাদান কেন্দ্রে তাকে দু’বার টিকা দেওয়া হয়।
জহুরা মহানগরের সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা কেসিসি স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও মরহুম মুনসুর খাঁর স্ত্রী। তার ছেলে রফিক খাঁ খুলনা সিটি করপোরেশনের কঞ্জারভেন্সি শাখার গার্বেজ ট্রাকচালক।
জহুরা বলেন, আমি টিকা নিতে গেলে প্রথমে সোবহানের বউ (টিকাদানকারী) আমার বাম হাতে টিকা দেয়। চলে আসার সময় আমার পরিচিত রুবেল নামে এক যুবক ডাক দিয়ে চেয়ারে বসায়। এরপর আরেকজন টিকাদানকারী আমাকে আবার টিকা পুশ করে। আমি জানতাম না একদিনে টিকা দু’টি দেয় নাকি একটি।
তিনি বলেন, টিকাদান কক্ষ থেকে বেরিয়ে দু’বার টিকা দেওয়ার বিষয়টি সোবহান, কালাম মোল্লা ও মসজিদের হুজুরকে জানাই। হুজুর শামীম নামে একজনকে ফোন করে জানায়। হুজুর আমাকে বলে কাউকে বলবেন না, আমরা সব ঠিক করে দিবানি।
জহুরা বলেন, এখন আমার মাথা ঘোরাচ্ছে, বুক কাপছে।
রফিক খাঁ জানান, তার মাকে দু’বার টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন তার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ভুল তথ্য। বিষয়টি আমরা ইনকোয়ারি করে দেখেছি। সবকিছু তদন্ত করে যাচাই-বাছাই করে দেখেছি ভুল তথ্য।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছেন সত্যতা আছে কিনা। টিকা গ্রহীতা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, টিকাদানকারী ও সুপারভাইজারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা দু’বার টিকা দেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি টিকাদানকারী ও সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছে যে, কাউকেই দু’বার টিকা দেননি। এছাড়া ওই কেন্দ্রে ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা ঘাটতি পড়েনি। কাউকে দু’বার টিকা দেওয়া হলে তো একটি টিকা ঘাটতি থাকতো।
** ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও গৃহবধূকে ২ ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ
** গৃহবধূকে একসঙ্গে ২ ডোজ টিকা দেওয়ার অভিযোগ
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২১
এমআরএম/আরবি