ঢাকা: অর্ধেক গণপরিবহন চলবে, বাকি অর্ধেক কেন চলবে না, এই সিদ্ধান্তের পিছনে কী কারণ সেটা বোধগম্য নয় বলে উল্লেখ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য, করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য, দেশের শীর্ষ ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম।
সোমবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি বাংলানিউজকে এ কথা বলেন।
চলমান বিধি-নিষেধ শিথিল করে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ১১ আগস্ট থেকে প্রতিদিন আসন সংখ্যার সমপরিমাণ অর্থাৎ শতভাগ যাত্রী এবং মোট পরিবহনের অর্ধেক পরিবহন চলাচল করার অনুমতি দিয়ে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী এবং মোট পরিবহনের অর্ধেক চালু রাখার এমন সিদ্ধান্তে দেশব্যাপী চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা।
করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অন্যতম সদস্য ডা. নজরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গণপরিহন চললে সবগুলোই চলা উচিৎ। এমনিতেইতো মানুষের চলার জন্য পর্যাপ্ত গণপরিবহন নেই। সবগুলো পরিবহন চলাচল করলে লোকজন সুবিধামত চলাচল করতে পারে। করোনা সংক্রমণের অন্যতম উৎসগুলোর মধ্যে একটি বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন, অর্ধেক পরিবহন চলার কারণ কী, সেটা বুঝতে পারছি না।
শতভাগ যাত্রী পরিবহনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাস্তবতার জায়গা থেকে বলতে হয়, অর্ধেক আসনে যাত্রী পরিবহনে তেমনভাবে কার্যকর করা যায়নি। যেটা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, সেটা রাখার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তাই হয়তো শতভাগ যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু পরিবহন অর্ধেক কেনো, সেটাইতো বুঝতে পারছি না।
শতভাগ যাত্রী এবং অর্ধেক পরিবহন চলাচলের এই সিদ্ধান্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার সাথে সাংঘর্ষিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ সাংঘর্ষিক। গণপরিবহনের এই বিষয়টা আমি বুঝতেই পারছি না। সমস্ত গণপরিবহন খুলে দেওয়া উচিৎ। সব পরিবহন খুলে দিলে মানুষের মধ্যে হুড়োহুড়ি এবং গাদাগাদি করার প্রবণতা কমবে, অন্যথায় ভিড় এবং হুড়োহুড়ি বাড়বে। অর্ধেক পরিবহন বন্ধ রাখার পিছনে যৌক্তিক কি তাও বুঝতে পারছি না।
এই সিদ্ধান্ত করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এটা করোনা বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত না। তারা নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২১
আরকেআর/এজে