ঢাকা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে করোনা রোগীর ভর্তির সংখ্যা কিছুটা কমেছে। হাসপাতালের দুটি ভবনের করোনা ইউনিটে প্রায় দুইশ বেড খালি আছে।
গত দুই মাসে (জুন-জুলাই) করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শয্যা বাড়িয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) হাসপাতালের নতুন ভবনের করোনা ইউনিউটের নিচতলায় ভর্তির স্থানে গিয়ে দেখা যায়, জুন, জুলাই ও আগস্টের শুরুতে যে পরিমাণ রোগীর চাপ ছিল এখন তেমন নেই। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করোনা উপসর্গ ও করোনা রোগীসহ মোট ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। অথচ গত ১৫ জুলাই ১০৭ জন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল।
করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়, জুন, জুলাই ও আগস্টের শুরুতে চাপ ছিল অনেক, এখন কমে এসেছে। নতুন ভবনে এখন প্রায় ১৩০টি শয্যা খালি আছে। অথচ জুন, জুলাই ও আগস্টের শুরুতে রোগীর চাপের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শয্যা বাড়িয়ে ছিল।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটকে গত বছর করোনা ইউনিট করা হয়। সেখানকার ওয়ার্ড মাস্টার বাবুল জানান, তাদের ইউনিটে করোনা আক্রান্ত আড়াইশ রোগীকে ভর্তির নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। জুন, জুলাই ও আগস্টে শুরুতে রোগী অনেক ছিল। তবে এখন ১২০ জন ভর্তি আছেন।
ঢামেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আশরাফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের নতুন ভবন করোনা ইউনিট ও সাবেক বার্ন ইউনিট এখন সার্জারি করোনা ইউনিট। এই দুই ভবনে করোনার উপসর্গ ও করোনা রোগী মোট ৫৮২ জন ভর্তি আছেন। গত দুই মাসের তুলনায় এখন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম।
তিনি আরও জানান, জুলাই ও আগস্টের শুরুতে যেখানে কোভিড ওয়ার্ডে বাড়তি শয্যা দিতে হয়েছিল সেখানে বর্তমানে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে এসেছে। দৈনিক গড়ে দুইশ’ শয্যা ফাঁকা থাকে। অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও ঢামেক হাসপাতাল তার ঐতিহ্য, সুনাম ধরে রেখে কোভিড দুর্যোগে চিকিৎসার পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ