রাজশাহী: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রাজশাহী অঞ্চলে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গত জুন মাসে মহানগরীতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণের হার উঠে যায় ৫০ শতাংশের ওপরে।
এর মাধ্যমে দ্রুত আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করায় সংক্রমণের হার অনেকটা কমেছে। তবে কীট সংকটে আবারও গত দুই দিন ধরে বন্ধ রয়েছে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। এর আগে একবার কীট সংকটে প্রায় এক সপ্তাহ র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট বন্ধ ছিল।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) জানায়, শুরুতে মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পাঁচটি বুথে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে বাড়িয়ে ১৩টি করা হয়। সবশেষ রোববার (২৯ আগস্ট) মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে। কীট না থাকায় সোমবার (৩০ আগস্ট) থেকে আর কোথাও টেস্ট করা হয়নি। প্রথম দিকে যিনিই যেতেন, তারই নমুনা পরীক্ষা করে ১০ মিনিটের মধ্যে ফল জানানো হতো। সম্প্রতি কীটের সংকট দেখা দিলে শুধু উপসর্গ থাকলে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের নমুনা পরীক্ষা করা হতো। সর্বশেষ রোববার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৭৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৯ জন।
জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে তারা ৭০০-৮০০ করে কীট পেতেন। সেটা দিয়ে কার্যক্রম চলছিলো। কিন্তু সর্বশেষ পাওয়া ৭৫০ কীট শেষ হয়ে যাওয়ায় এই পদ্ধতির টেস্ট বন্ধ করা হয়েছে। তবে কীট আসলে আবার কার্যক্রম টেস্ট চালু হবে।
এদিকে, রাজশাহীতে র্যাপিড টেস্টের সরকারি উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গেলেও বেসরকারি কোনো হাসপাতাল-ক্লিনিক টেস্ট করার জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে অনুমতি পায়নি। ফলে আগ্রহ থাকলেও বেসরকারি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলো র্যাপিড টেস্ট করাতে পারছে না।
এ বিষয়ে ক্লিনিক-ডায়গনসিস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজশাহী জেলার সভাপতি ডা. আবদুল মান্নান বলেন, রাজশাহী মহানগরীতে উন্নত মানের বেশ কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে যারা এই পদ্ধতির টেস্ট করাতে আগ্রহী। কিন্তু সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে। শুধু রাজশাহীতেই এটি হয়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহীর প্রায় সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার নবায়নের আবেদন করেছে। সেসব সেন্টার পরিদর্শনের জন্য আমরা টিম গঠনের চেষ্টা করছি। দ্রুতই সরেজমিনে পরিদর্শন করে তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে। একই সঙ্গে তাদের করোনা টেস্টের অনুমতিও দেওয়া হবে বলে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এসএস/আরএ