ঢাকা: অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, অতিরিক্ত ওজন, কায়িকপরিশ্রম ও ব্যয়াম না করাসহ আরও কিছু কারণে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফলে এসব ক্ষেত্রে অভ্যাসগত পরিবর্তন ও সচেতনতা জরুরি।
এর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা সহজ হয় এবং অল্প সময়েই ক্যান্সার থেকে মুক্তি মেলে। কারণ স্তন ক্যান্সারের বিশ্বমানের সব ধরনের উন্নত চিকিৎসাই এখন দেশে রয়েছে।
বৃহসপতিবার (২৮ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ ও এভারকেয়ার ঢাকা হাসপাতালের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় সুরক্ষা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞ আলোচনকরা এ অভিমত তুলে ধরেন। এছাড়া স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি জাতীয় গাইডলাইন ও জেলায় জেলায় চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া লিমিটেডের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী।
এই বৈঠক থেকে বেশ কিছু সুপারিশ উঠে আসে। সুপারিশগুলো হলো-
• জাতীয়ভাবে বিশ্ব স্তন ক্যান্সার দিবস পালনের উদ্যোগ নিতে হবে
• মায়েরা যখন স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে যায় তখন অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের সচেতনতার বিষয়টি জড়িয়ে দিতে হবে
• দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত সেটার সঠিক তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করতে হবে
• জাতীয় নিবন্ধনের মাধ্যমে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তাদের কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা
• স্তন ক্যান্সার দ্রুত চিহ্নিত করতে পরিক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া
• শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন কাঠামো তৈরি করতে হবে যেন, ছাত্র ছাত্রীরা স্তন ক্যান্সার সমপর্কে জানতে পারে
• স্ক্রিনিং প্রোগ্রামকে সফল করতে হলে বা স্তন ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে সারাদেশে সব ধরনের পরীক্ষা সহজলভ্য করতে হবে এবং সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের উপ-রিচালক (হাসপাতাল সেবা) ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, নারীদের স্ক্রিনিংয়ের আওয়তায় আনা খুব জরুরি। দেশে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষ স্তুন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়। কিন্তু চিকিৎসক মাত্র ১৫০ জন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, যদি সঠিক তথ্য উপাত্ত না থাকে তাহলে আমরা কী করে বুঝবো অবস্থা কোন দিকে যাচ্ছে। আজকের দিনে আমি বলবো, সরকারের পক্ষ থেকে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষ থেকে এবং ক্যান্সার নিয়ে কাজ করে এমন বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ক্যান্সার সারা বিশ্বেই আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এজন্য আমাদের জীবনাচারে একটা পরিবর্তন দরকার। এটা পরিবার, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানে সকল ক্ষেত্রেই দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯,২০২১
এসই/এসআইএস