ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় ৪ কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নথি গায়েবের ঘটনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের চার কর্মচারীকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মো. আলী নূর বলেন, নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এখন অ্যাকশন চলমান আছে। বিভাগীয় প্রসেডিং হয়েছে, এ অনুযায়ী এটার কাজ চলমান থাকবে। এরপর যখন জাজমেন্ট হবে তখন তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চারজনই নিচের পর্যায়ের কর্মচারী।
বরখাস্ত হওয়া চার কর্মচারী হলেন- ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা, জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ এর (গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিট) অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ২৯ নম্বর কক্ষ থেকে ১৭টি নথি হারায়। ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অফিস করে নথিগুলো ফাইল ক্যাবিনেটে রাখেন। পরের দিন দুপুর ১২টার দিকে কাজ করতে গিয়ে দেখেন ফাইলগুলো সেখানে নেই। এরপর গত ২৮ অক্টোবর উপ-সচিব নাদিয়া হায়দার শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি হওয়ার পরই সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নথি গায়েবের ঘটনা অনুসন্ধানে সে সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ আলমকে প্রধান করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস/এমএমজেড