ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আবার ডিলিট উপাধিতে ভূষিত মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
আবার ডিলিট উপাধিতে ভূষিত মমতা

কলকাতা: দ্বিতীয় বারের মতো ডিলিট উপাধিতে ভূষিত হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাকে ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়।

সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, উচ্চশিক্ষায় বিশেষ অবদানের কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট উপধিতে ভূষিত করা হয়েছে।

ডিলিট সম্মাননা পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি সাধারণ মানুষ হয়েই থাকতে চাই। আমি আমার এই পুরস্কার সাধারণ মানুষকে উৎসর্গ করলাম। আজ আমি যা, সব তাদের জন্যই। পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অংশেই কম নয়।

তিনি আরও বলেন, সমাজের দুর্বল শ্রেণির হয়ে কাজ করতে চাই। দেশে একতা এবং সাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। সংবিধান বাঁচানো দরকার।

নিজের শাসন আমলে কতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে সেই খতিয়ান দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সেন্ট জেভিয়ার্সের সার্বিক উন্নতির জন্য সর্বদা সহায়তা করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টি মাদার টেরিজার নামে সাম্মানিক চেয়ার তৈরির কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাকে ডিলিট সম্মানে ভূষিত করার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সাবেকদের ধন্যবাদ জানান।

এদিন সেন্ট জেভিয়ার্সের নবনির্বিত প্রশাসনিক ব্লকেরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার থেকে এই বিল্ডিংয়েই হবে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং কন্ট্রোলারের দফতর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কলকাতায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য জন ফেলিক্স রাজ। এর আগে সরস্বতী পূজার দিন রাজভবনে রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রীর ডিলিট প্রাপ্তির দিনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন রাজ্যপাল বলেন, যে সকল রাজনীতিবিদ রাজনীতির সঙ্গে সাহিত্য কীর্তিতেও অনন্য স্বাক্ষর রেখেছেন, তার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজ কৃতিত্বের জন্য ডিলিট সম্মান অর্জন করেছেন।

সেন্ট জেভিয়ার্সের আগে ২০১৮ সালে শহরের শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রীকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজে হাতে ডিলিট সম্মান মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সাহিত্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিলিট স্বীকৃতি দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেবার সম্মান প্রাপ্তির পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এমন সম্মান পাব জীবনে ভাবিনি, নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি গর্বিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।