কলকাতা: ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ জেলায় পুলিশের সামনে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে মারধর করছে উম্মত্ত জনতা।
১৮ জুলাই (মঙ্গলবার) চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে ওই জেলার পাকুয়া হাটে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাটে দুই নারীকে চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। কারো হাতে জুতা, কেউ আবার চুলের মুঠি ধরে টানছে কেউ। নারীরা বাঁচার জন্য কাঁদছেন, তাদের রক্ষা করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু, উম্মত্ত জনতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না দুই নারী। দূর থেকে কয়েকজন বলছেন, আর মেরো না। ছেড়ে দাও। এবার মরে যাবে!
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এমনই একটি ভিডিও। তারপরেই তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে নানা মহলে।
নির্যাতিত দুই নারী মালদহর মানিকচকের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, দুই ‘জা’ (ভাইয়ের স্ত্রী) ঘুরে ঘুরে হাটে লেবু বিক্রি করছিলেন। সেখানে চোর সন্দেহ মারধর করা হয় তাদের। যদিও এই ঘটনায় এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি পুলিশের কাছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘ সময় ধরে এই মারধরের পালা চললেও কেন পুলিশ এখনও ব্যবস্থা নেয়নি?
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মাননীয়া (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নাকি মণিপুর যাবেন আর নিজের রাজ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। একবারও তো একুশের সমাবেশে সে কথা বললেন না। মণিপুর তো বহু দূরে, এটা তো আপনার (মমতা) বাড়ি থেকে কয়েকঘণ্টা দূরে। একবার তো আসতে পারতেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে রাজ্যটিতে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং অনেকে আহত হয়েছেন। এরপরই মণিপুরে হাজার হাজার সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তারমধ্যে নতুন করে বিতর্কের পারদ চড়েছে ২৬ সেকেন্ড ভিডিওটিকে ঘিরে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই আদিবাসী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গোটা দেশে ক্ষোভের জন্ম নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
ভিএস/এসআইএস