কলকাতা: কলকাতাসহ রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তা প্রতিরোধে কাজও শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর।
এর মধ্যেই শুক্রবার (২৮ জুলাই) ডেঙ্গু কেড়ে নিয়েছে আরও একটি প্রাণ। এদিন ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় এক নারীর। নাম অনিমা সর্দার। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) তাকে কলকাতার এমআরবাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
এ নিয়ে চলতি মাসে রাজ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আটজনের। তাদের মধ্যে ৯ মাসের শিশু, ১০ ও ১৩ বছরের কিশোরীর পাশাপাশি আরও দুজন নারী ও দুই বৃদ্ধও রয়েছেন।
শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের শেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭০ জন রোগী ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবারে ডেঙ্গুর প্রভাব অধিকাংশই গ্রামাঞ্চলে। জেলার হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু শনাক্তের সংখ্যা। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাসাত, আমডাঙা, হুগলি জেলার শ্রীরামপুর, নদিয়ার রানাঘাট, পশ্চিম বর্ধমানের কালনাসহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রভাব।
পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎ ডেঙ্গুর দাপটের জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশকে দায়ী করেছে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার নিয়েছে। প্রতিদিনই দুই দেশের বহু মানুষ আসা-যাওয়া করেন। সেই সূত্রে কলকাতাসহ রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই আমরা চাইছি ঢাকা-কলকাতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে। বিশেষ করে কলকাতা বিমানবন্দরে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হোক।
এ বিষয়ে কলকাতার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতে আসার জন্য যদি আগতদের টেস্ট করতে হবে, সেটা ভারতের বিষয়।
আর গ্রাম পর্যায়ে ডেঙ্গু বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, উন্নয়ন ও নগরায়নের কারণেই কলকাতার বদলে গ্রাম এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, ২৯ জুলাই, ২০২৩
ভিএস/এইচএমএস/আরবি