কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক সেরে কলকাতায় ফেরার পথে গাড়ি আচমকা ব্রেক কষায় কপালে আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
হেলিকপ্টার করেই মমতার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় হেলিকপ্টারের পরিবর্তে গাড়িতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে চালকের পাশের আসনে উঠে বসেন তৃণমূল নেত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মমতাকে বহনকারী গাড়িটি গ্র্যান্ড ট্র্যাংক রোডে ওঠার সময়ে চালক আচমকা ব্রেক কষেন। এতে মুখ্যমন্ত্রীর কপাল উইন্ড স্ক্রিনে ঠুকে যায়। এ সময় তার সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না। চোট লাগামাত্রই কপালে রুমাল চেপে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আঘাত গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সেই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। পথে কুয়াশাও ছিল। গতির হেরফেরের জেরেই গাড়িতে ঝাঁকুনি হয়। তাতেই মুখ্যমন্ত্রী কপালে আঘাত পেয়েছেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও পর্যন্ত সরকারের কেউ স্বীকার করেননি।
এর আগে গত বছর ২৭ জুন উত্তরবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন হেলিকপ্টার করে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু হেলিকপ্টার উপরে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যে তা দুর্যোগের কবলে পড়ে। ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের সময় মুখ্যমন্ত্রী চোট পেয়েছিলেন।
এতে তাঁর হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি যেন নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করেন। খুব বেশি হাঁটাহাটি করা যাবে না।
এরপর গত দুর্গাপূজার সময়ে টানা দশ দিন তাই বাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার অফিসিয়াল কাজকর্মও বাড়ি থেকে করেন।
এরও আগে ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর জেলায় প্রচারকালে গাড়ি থেকে নামার সময় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসার পর গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া তিনি হুইল চেয়ারে বসেই করেছিলেন। চোট নিয়েই নির্বাচনী প্রচারণা সেরে তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসেন মমতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ