ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

সুমনকে দেখতে হাসপাতালে মমতা, পূরণ করলেন চকলেট আবদারও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
সুমনকে দেখতে হাসপাতালে মমতা, পূরণ করলেন চকলেট আবদারও

কলকাতা: শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাংলা সংগীতের খ্যাতনামা শিল্পী কবীর সুমন। তবে এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত, আগের চেয়ে ভালো আছেন।

হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে তার। অক্সিজেন নির্ভরতাও কমেছে। সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার প়ড়ছে না। যদিও তার ফুসফুস এবং হার্টের সমস্যা রয়েছে। তবে সে সংক্রান্ত সমস্যাগুলো এখন এতটা জটিল নয়, উঠে বসছেন।  হাঁটাচলাও করছেন তিনি।

কবীর সুমনকে দেখতে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রায় ১০ মিনিট ছিলেন তিনি। সুমনের সঙ্গে দেখা করে, বাইরে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আগের চেয়ে ভালো আছেন। কথা বলছেন। বাড়ি যাব বলে বায়না করছেন। কিন্তু, আমি বলেছি এখন বাড়ি যাওয়া যাবে না। একবার এমন হয়েছে। আবার যখন তখন এমন হতে পারে। তাই আমি বলেছি, আরও ১০ দিন থাকতে হবে। সুস্থ হয়ে ফিরবেন।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, ও আমাকে দেখে জয় বাংলা বলল, আমিও বললাম। কিছুটা গল্প হয়েছে। গান নিয়ে কথা হয়েছে। মমতাকে সামনে পেয়ে গায়ক তার কাছে চকোলেট খাওয়ার আবদার করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই আবদার পূরণও করেছেন। তবে গায়কের যেহেতু ডায়াবিটিস আছে, তাই চিকিৎসকেরা চকলেট বাদ দিয়ে বিস্কুটের ( কিটক্যাট চকলেট) অংশটা খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।

তবে হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। যেহেতু, হাসপাতালে সব ধরনের রোগী থাকে, তাই অন্যান্য সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়, সে কারণে গায়ককে বাড়ি পাঠানো যায় কিনা, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন চিকিৎসকেরা। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে সুমনের শারীরিক অবস্থার উপর। তিনি শারীরিকভাবে কেমন থাকেন, সেটা দু একদিন দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

শ্বাসকষ্ট ও বুকে সংক্রমণ নিয়ে গত সোমবার (২৯ জানুয়ারি) হাসপাতালে ভর্তি হন কবীর সুমন। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তৃণমূলের সাবেক সাংসদ এ শিল্পীকে।

তৃণমূলের হয়ে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর আসন থেকে সাংসদ হন তিনি। যদিও পরবর্তীকালে তৃণমূলের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। পরে তা মিটেও যায়। তবে পরে আর কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি। তবে দলের নেত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৪
ভিএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।