কলকাতা: ভারতে ভোট মৌসুম এলেই সিএএ নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিগত নির্বাচনগুলোতেও এ নিয়ে বারেবারে ভোট রাজনীতি উত্তপ্ত হয়েছে।
শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল বিজনেস সামিটে অংশ নিয়ে অমিত শাহ বলেন, সিএএ দেশের একটি আইন, এ নিয়ে অবশ্যই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নির্বাচনের আগেই তা করা হবে। নির্বাচনের আগে নতুন নাগরিকত্ব আইন চালুও হয়ে যাবে এবং এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে যারা মুসলিম সম্প্রদায়, তাদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে।
দৃঢ়তার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে পারে না। কারণ আইনে এর কোনো বিধান নেই। সিএএ হলো নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার একটি আইন।
এ ইস্যুতে আগের কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন, সিএএ ছিল আগের কংগ্রেস সরকারের প্রতিশ্রুতি। যখন ভারত বিভক্ত হয়েছিল এবং ওইসব দেশে যখন সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়েছিল, কংগ্রেস সে সময় শরণার্থীদের আশ্বাস দিয়েছিল যে, তারা ভারতে স্বাগত এবং তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু এখন তারা পিছু হঁটছে।
উল্লেখ্য, ওই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় চান তা হলে তা দেবে ভারত, যা নিয়ে ২০১৯ সালে সংসদে সিএএ পাস হয়। সংসদের লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই কক্ষে পাসের পর রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে।
তারপর কেটে গেছে পাঁচ বছর। এখনও ভারতে সিএএ কার্যকর করা যায়নি। এদিকে চলতি বছরে সংসদ ভোট আসতে দু’এক মাস বাকি। এরই মধ্যে শনিবার সিএএ চালু করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে পশ্চিমবঙ্গের মতো বিজেপিবিরোধী শাসিত রাজ্যগুলো ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরের বিরোধী। জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই গোটা প্রক্রিয়ায় পরিকল্পনা নিয়েছে।
ভাবা হয়েছে, একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে। এরপর নাগরিকত্ব পাওয়ার সামগ্রিক বিষয় অনলাইনের মাধ্যমে রূপায়ণে হবে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে ইচ্ছুকরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারী কোন সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেই তথ্য পোর্টালে দিতে হবে। ওইসব আবেদন খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪
ভিএস/আরবি