ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতার বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ দিবস পালিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৬
কলকাতার বিদ্যালয়ে বাংলাদেশ দিবস পালিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: ‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে— এই বাংলায়’। অনুষ্ঠানজুড়ে বারবার যেন প্রতিধ্বনিত হলো জীবনানন্দের এ চরণটি।


 
একদিকে কলার মোচা দিয়ে চিংড়ি ভুনা, ঝিঙা ডাল, চিকেন বিরিয়ানি অন্যদিকে আলুপোস্ত, আলুর দম আর ছানার ডাল। বাকরখানি, ফিস কোপ্তা, চিকেন ভুনার ঠিক পাশে পোলাও আর কষা মাংস।

ক্যালকাটা ইন্টার ন্যশানাল স্কুলে ঠিক এভাবেই মিলেমিশে একাকার হলো দুই বাংলা।
 
শুক্রবার (৬ মে) কলকাতার ক্যালকাটা ইন্টারন্যশানাল স্কুল প্রাঙ্গণে পালিত হলো ‘বাংলাদেশ দিবস’। গাছে পানি ঢেলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই বিশেষ দিনটির উদ্বোধন করলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ হাই কমিশনার জকি আহাদ।
 
এ বিদ্যালয়ে প্রতি তিন বছর পর পর কোনো একটি দেশকে ‘থিম’ করে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ বছর প্রথম বাংলাদেশকে ‘থিম’ করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলো বলে বাংলানিউজকে জানান, ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মুনমুন নাথ।
 
তিনি জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর এ অনুষ্ঠানটি একটি ‘প্রজেক্ট’ হিসেবে দেওয়া হয়। এভাবেই সে দেশের শিল্প, সংস্কৃতি, খাদ্যসহ বিভিন্ন দিক তুলে আনে শিক্ষার্থীরা।
 
‘বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষে খাবারে সঙ্গে তুলে আনা হয় দুই বাংলার সংস্কৃতি। সেখানে একদিকে যেমন ছিল বাংলাদেশের নকশিকাঁথা অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের বোলপুর শান্তিনিকেতনে তৈরি কাঁথার কাজ।
 
বিদ্যালয়ে পাঠরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তুলে ধরেন দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। গান, নাচ, কবিতায় দেশকে তুলে ধরেন জাহিন হোসেন, রুহিন হোসেন, মাসরুর মাহিন কবির, সানিয়া ফাইরুজ খান,  জাইয়ান নুর আল আহাদ, নীলেভা সাজই নীলসহ অন্যরা।
 
এই বিদ্যালয়েই পড়াশোনা করেন কলকাতায় কর্মরত বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের কর্মীদের সন্তানরা। তাই বাংলাদেশের রান্নাগুলিতে অভিভাবক হিসেবে হাত লাগিয়েছেন দূতাবাসের কর্মী ও কর্মীদের স্ত্রীরাও।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপ হাই কমিশনার জকি আহাদ বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যে দেশ তৈরি হয়েছিল মাতৃভাষার অধিকারকে সামনে রেখে।

তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জানান, বাংলাদেশ একমাত্র দেশ, যে দেশের নামের শুরু তার মাতৃভাষার নামের মধ্য দিয়ে।
 
তিনি ক্যালকাটা ইন্টারন্যশানাল স্কুলের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিদ্যালয়ের পাঠাগারে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো ধরনের বই দরকার হলে উপ হাই কমিশন সানন্দে তার ব্যবস্থা করবে।

শুক্রবার শুরু হয়ে সোমবার (৯ মে) পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান চলবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানান হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৬
ভিএস/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।