ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আন্দামানের সেলুলার জেল এবার আগরতলায়

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
আন্দামানের সেলুলার জেল এবার আগরতলায়

আগরতলা: ভারতের দ্বীপ রাজ্য আন্দামান ও নিকোবর এর সেলুলার জেল দেখতে হলে আসতে হবে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায়!

বাঙালিদের সব চেয়ে বড় উৎসবের একটি হলো দুর্গাপূজা। এই উৎসবের আয়োজকরা লাখ লাখ রুপি খরচ করে প্রতি বছর তৈরি করেন বিশাল বিশাল প্যান্ডেল।

আর এই প্যান্ডেল তৈরি হয় নানা থিমকে কেন্দ্র করে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বেশি সংখ্যক দর্শকদের প্যান্ডেল দর্শনের জন্য নিয়ে আসা।

এই প্রতিযোগিতা রয়েছে সারা ভারত জুড়ে, এর থেকে বাদ নেই ত্রিপুরা রাজ্যও। রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের অন্যান্য শহরের দুর্গা উৎসব কমিটি প্রতিবছর তৈরি করেন বিশাল বিশাল প্যান্ডেল।

আগরতলার অন্যতম বড় একটি দুর্গা উৎসব কমিটি হল ঊষা বাজারের ভারতরত্ন সংঘ। তাঁদের এ বছরের প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ব্রিটিশ আমলের সেলুলার জেলের আদলে। জেলের ওয়াচ টাওয়ারের উপর দেবী প্রতিমাকে বসানো হবে বলে বাংলানিউজকে জানান ক্লাবের সভাপতি মোহিত দাস।

তিনি আরও জানান শুধু জেলের আদলে প্যান্ডেলই তৈরি হবে না, জেলের আশেপাশের সমুদ্রের উপকূলীয় পরিবেশ তৈরি করতে থাকবে হোগলা সহ নানা সামুদ্রিক উপকূলীয় গাছের বন।

অনেক কিছু থাকতে জেলের মত একটি বিষয়কে দুর্গা উৎসবের থিম হিসেবে নির্বাচন করার কারণ কি?

এর উত্তরে মোহিত দাস বলেন, সেলুলার জেলের সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার বিষয়টি জড়িত আছে, যে সব মহান ব্যক্তিত্ব ভারতকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন তাদের অনেককেই এই জেলে বন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে। তাই এই জেলের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। সকলে তো আর আন্দামান গিয়ে এই ঐতিহাসিক জেল দেখতে পারবেন না, তাঁদের কথা মাথায় রেখে ক্লাবের এ বছরের এই প্রয়াস।  

বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই প্যান্ডেল। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছেন। ষষ্ঠী পূজার দিন প্যান্ডেল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  

এত বিশাল আয়োজন করলেও ভারতরত্ন ক্লাবের এ বছরের পূজার বাজেট মাত্র ১৮ লাখ রুপি।

এত বড় আয়োজন এতো কম রুপিতে কি করে সম্ভব? এ প্রশ্ন বাংলানিউজের তরফে করা হলে ক্লাব সভাপতি জানান, কাঠ, টিন, বাঁশ, লোহার কাঠামো, আলোক সজ্জার সরঞ্জাম সহ আরও অনেক স্থায়ী সম্পদ রয়েছে ক্লাবের। এই সম্পদগুলো প্রতিবছর প্যান্ডেল তৈরির কাজে লাগানো হয় তাই খরচ অনেক কমে যায়। তাছাড়া এই প্যান্ডেল তৈরির কাজে স্থানীয় কারিগরদের লাগানো হয় এই সব কারণে কম বাজেটে বড় পূজা করা সম্ভব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

শুধুমাত্র প্রতিমা শিল্পী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলা থেকে আনা হয়। গত ৫ বছর ধরে নদীয়ার শিল্পীকে দিয়ে প্রতিমা তৈরি করাচ্ছেন তারা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও উৎসবের ৫ দিন দর্শনার্থীদের ভীড় জমবে তাঁদের ক্লাবে এমনটাই আশা ক্লাব সভাপতি সহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের।    

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।