অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, কমল হাসান, কাজল, মহেশ ভাট, কুমার শানু, জিৎ গাঙ্গুলী, দেব ও প্রসনজিৎ সহ একাধিক নক্ষত্র। এ বছর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থালি গার্ল ছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
বিক্রম ঘোষের ফিউশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উৎসবের সূচনা বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের সরকার কণ্যাশ্রীতে বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছি। কলকাতায় ফুটবলে যুব বিশ্বকাপে আমরা সাকসেস। ভারতে যতগুলো চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান হয় তার মধ্যে এক নম্বর র্যাঙ্কিং এ কলকাতা চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান এক নম্বর। ২৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে উৎসবেও আমরা সাকসেস হব। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। আমি সব কিছুই করব যেখানে বাঙলা ও বাঙালির সম্মান ও সংস্কৃত জড়িত। কোনো রাজনৈতিক দল ঠিক করে দেবে আমরা কি করব। ’ বিশ্বে চলচ্চিত্র উদ্বোধনে এত বড় স্কিনে সিনেমা দেখানো হয় না।

শাহরুখ খানও বাংলা ভাষাতেও বলেন, অন্য ভাষাগুলোর থেকে বাঙলা ভাষা ভালো জানি। আমি বাংলা ভাষাকে রাও রপ্ত করছি। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাংলাকে আমি ভালোবাসি।
প্রথম দিন নেতাজী ইন্ডোরে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শন করা হবে ইরানী পরিচালক মোস্তাফা তাঘিজাদের ‘ইয়েলো’। গল্পে দেখানো হয় স্থানীয় ছয়জন তরুণ বিজ্ঞানীর দেশত্যাগের কাহিনী। তবে এই উৎসবে মূল ফোকাস থাকবে ব্রিটেনের ওপর। ‘ইনোভেটিভ ইমেজেস ইন সিনেমা’ নামে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগের সেরা ছবির জন্য দেওয়া হবে ৫১ লাখ রুপি এবং আঞ্চলিক ভাষার ছবিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিযোগিতা বিভাগে সেরা ছবি এবং সেরা পরিচালকের হাতে তুলে দেওয়া হবে যথাক্রমে সাত লাখ ও পাঁচ লাখ রুপির চেক।
১০ থেকে ১৭ নভেম্বর, টানা সাতদিন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য রয়েছে নানা ভাষায় নানা স্বাদের একগুচ্ছ ছবির সম্ভার। ১২টি প্রেক্ষাগৃহে মোট ৬৫টি দেশের ১৪৬টি ছবি এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে। এবারই প্রথম ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অফ বেঙ্গলি সিনেমা’ নামে একটা নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। এবারে উৎসবে বাংলাদেশের সিনেমায় থাকছে আবু সৈয়দের পরিচালনায় ‘ডেথ অব অ্যা প্রফেসর’। এছাড়া থাকছে অভিনেত্রী জয়া আহসান অভিনীত ছবি ‘বিসর্জন’। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমায় থাকছে ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর পরিচালনায় ‘বিলের ডাইরি’, রেশমী মিত্রর পরিচালনায় ‘বারান্দা’ নামে বাংলা ছবিসহ রয়েছে আরও বহু ছবি যা মন ছুঁয়ে যাবে দর্শকদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এসএস/এসএইচ