উপ-হাইকমিশন চত্বরে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পতাকা অর্ধনমিত করেন উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান।
এরপর ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতের পর বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন আয়োজিত প্রভাতফেরি শুরু হয়।
প্রভাতফেরি পার্ক সার্কাসে বাংলাদেশ গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে উপ-হাইকমিশন চত্বরে এসে শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, কলকাতায় অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিক, কলকাতার ভাষাপ্রেমী, কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন নাট্য সংগঠনের সদস্যরা।
প্রভাতফেরি শেষে উপ-হাইকমিশন চত্বরে অবস্থিত শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
পরবর্তীতে মহান ‘ভাষা শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়।
এরপর উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান তার বক্তৃতায় বলেন, দল মত নির্বিশেষে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা নিজ নিজ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলি, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বেশি করে মাতৃভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করি- আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
২১শে ফেব্রুয়ারির প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরতে বিকেলে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এক বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতায় বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট প্রতিনিধিরা এতে নিজ নিজ ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পরিবেশন করেন। যার মধ্যে ছিলেন ফ্রান্স, রাশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট।
এছাড়া অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ড. লীনা তাপসী খান, সাজিদ আকবর ও সালমা আকবর। এছাড়া কলকাতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
ভিএস/জেডএস