ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আকাশের মুখভার, তাই মন খারাপ মৃৎশিল্পীদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
আকাশের মুখভার, তাই মন খারাপ মৃৎশিল্পীদের তৈরি হচ্ছে দুর্গা প্রতিমা

কলকাতা: দুর্গাপূজা আসতে আর মাত্র বাকি এক মাস। ইতোমধ্যে পূজার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে কলকাতা শহরে। তবে আকাশের মুখ ভার। কখনো মেঘ আবার কখনো বৃষ্টি। ফের নিম্নচাপ! থাকবে কতদিন? ঝলমলে রোদের দেখা মিলবে কবে? এই প্রশ্নগুলোই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে কলকাতার পটুপাড়ার মৃৎশিল্পীদের মুখে মুখে।

শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঝলমলে রোদ থাকায় শিল্পীদের মনেও খুশি ছিল। বেশ কিছু পূজা কমিটির কর্তা-ব্যক্তিরা এসে বায়নাও চূড়ান্ত করে গিয়েছিলেন।

কিন্তু রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই আবার মেঘলা আবহাওয়া। দুপুর থেকেই বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির দাপট খুব বেশি না থাকলেও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ কলকাতার পটুপাড়াগুলোতে। ফলে এদিন যেমন পটুপাড়া মুখো হয়নি কেউ। কাঁচা মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ শেষ করে প্রতিমা না শুকনো পর্যন্ত কার্যত হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে শিল্পীদের। তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

রোববারের বৃষ্টিভেজা দুপুরে উত্তর কলকাতার পটুপাড়া কুমোরটুলিতে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ শিল্পীর ঘরে কাজ প্রায় বন্ধ। নেই পূজা আয়োজকদের আনাগোনা। প্রতিমায় কাঁচামাটির প্রলেপের কাজ শেষ। এগুলো শুকালে সাদা রং করার কাজ শুরু হবে। কিন্তু বৃষ্টিভেজা আবহাওয়ার জন্য প্রতিমা শুকাতে কতদিন লাগবে, সেটাই বুঝতে পারছেন না তারা।

শিল্পী বিশ্বনাথ পাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘জায়গার অভাবে প্রতিবারই বেশ কিছু অর্ডার ছেড়ে দিতে হয়। কিন্তু যে কটা বানাচ্ছি, তা রাখারই জায়গা নেই। বাধ্য হয়ে রাস্তার এক পাশে ত্রিপল দিয়ে কয়েকটি প্রতিমা রাখতে হয়েছে। এরকম স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া চললে প্রতিমার কোনও কাজই করা সম্ভব না। ’

আরেক শিল্পী রুদ্রজিৎ পাল বলেন, ‘একটা গোটা দিন রোদ থাকলে যতটা কাজ করা যায়, এরকম মেঘলা পরিবেশ থাকলে তা সম্ভব হয় না। ফলে কড়া রোদ আমাদের জন্য খুব জরুরি। ’
 
তবে এরকম সমস্যা বা নিম্নচাপের ভ্রুকুটি সামলেই প্রতিবছর কাজ করতে হয় মৃৎশিল্পীদের, সে কথা মনে করিয়ে দিলেন কলকাতার বিখ্যাত প্রতিমা শিল্পী চিন্তামণি পাল। তার কথায়, ‘প্রধান কাজগুলো আমাদের ঘোর বর্ষার মধ্যেই করতে হয়। এসব ভাবলে চলবে না। কয়েকবছর ধরে মহালয়ার দিনেই বেশিরভাগ প্রতিমা মণ্ডপমুখো হয়। ফলে সবটা মাথায় রেখে আমাদের সেই সময়ের আগেই কাজ শেষ করতে হবে। ’
 
বৈশাখ মাস থেকেই কাঠের পাটাতনের উপর বাঁশের কাঠামো বানানো শুরু হয়। তার উপর খড় দিয়ে বেধে প্রতিমার আদল দেওয়া হয়। এরপর চলে মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ। এখন সেই প্রলেপ শুকালেই পরবর্তি কাজ শুরু।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
ভিএস/পিএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।