ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পূজায় বাঙালি খাবারের পসরা নিয়ে আসছে ভারতীয় রেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
পূজায় বাঙালি খাবারের পসরা নিয়ে আসছে ভারতীয় রেল ফুড প্লাজা

কলকাতা: এক মাসও বাকি নেই দুর্গাপূজার। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে তাই চূড়ান্ত ব্যস্ততা পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই। নিত্য নতুন পরিকল্পনায় ব্যস্ত আয়োজক থেকে গৃহস্থের। পূজার দিনগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে চলছে নিরন্তর আলোচনা।  

পূজার চারদিন সাধারণত কলকাতার চুলায় খুব একটা হাড়ি চড়ে না। এ সময় রেস্তোরাগুলোই হয়ে ওঠে ভোজনরসিক বাঙালির খাবারের অন্যতম উৎস।

এবার রেস্তোরার সঙ্গে যোগ হলো ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড (আইআরসিটিসি)।

এবারে দুর্গাপূজার সপ্তমী পড়েছে ১৬ অক্টোবর। আইআরসিটিসি বলছে, সপ্তমীর দিন থেকেই রেলওয়ে স্টেশনের ফুডপ্লাজায় বিশেষ মেন্যু চালু হবে। এ থালি পাওয়া যাবে দশমী পর্যন্ত।  

ট্রেন ধরার আগে কিংবা ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে আইআরসিটিসি’র ফুড প্লাজায় যাতে বাঙালিরা খাবারের রসনা তৃপ্তি করতে পারেন, তার জন্য নানা পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। ভাত, পোলাও, ফ্রাইড রাইস, লুচি, ছোলার ডাল, ছানার কোপ্তা, ধোঁকা, পাবদা, পোনা, ইলিশ, চিকেন, চিংড়ির মালাইকারি নিয়ে থাকছে জমজমাট পেটপুজোর আয়োজন। এক এক দিন থাকবে এক এক ধরনের বাঙালি থালি। বাদ যাবে না ড্রাই ফ্রুটের পায়েস, দই, মিষ্টিও। দামও থাকছে সাধ্যের মধ্যেই।  

হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, শিলিগুড়িসহ অন্যান্য স্টেশনের ফুডপ্লাজাগুলোকে পূজার থিমে সাজানোর পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থাটির।

আইআরসিটিসি’র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার (ইস্ট জোন) দেবাশিস চন্দ্র জানান, ফুডপ্লাজায় বসে খাওয়ার সময়েই উৎসবের আমেজ পাওয়া যাবে। সেরকম ব্যবস্থাই করা হবে।  অষ্টমী যেহেতু নিরামিষ তাই সেদিনের মেন্যু হিসাবে থাকছে লুচি, ছোলার ডাল, আলুর দম, ধোঁকা, ছানার কোপ্তার মতো খাবারের থালি। বাকি দিনগুলোতে আলাদা আলাদা থালি থাকবে। কোনও দিন পোলাও-মাটন, কোনও দিন ভাত-ডাল-বেগুন ভাজা-শুক্তো-মাছের কালিয়া। আবার কোনও দিন ভাত-ডাল-আলু পোস্ত-চিকেন দিয়ে থালি। দশমীতে থাকছে চিংড়ি মালাইকারি ও ইলিশ ভাপা। সঙ্গে অবশ্যই থাকবে চাটনি-দই-মিষ্টিও। এককথায় পঞ্চব্যঞ্জন বলতে যা বোঝায়, তেমনই আয়োজন করা হবে।
 
তিনি আরও বলেন, এ রাজ্যে পূজা দেখতে দেশ বিদেশের বহু মানুষ বাইরে থেকে আসেন। তাদের অনেকেই বাঙালি খাবারের খোঁজও করেন। এ রাজ্যের বহু মানুষও বাইরে যান বেড়ানোর জন্য। সবদিক বিবেচনা করেই চারদিন ফুডপ্লাজায় বাঙালি থালি রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
ভিএস/এএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।