শুধু ভিন্নতা এখানেই শেষ নয়, যেখানে সবাই রাজনৈতিক বা বিনোদন জগতের সেলিব্রেটিদের নিয়ে উদ্বোধনে ব্যস্ততা দেখায়, সেখানে কলকাতায় নিযুক্ত ১১টি দেশের ডিপ্লোম্যাট প্রধান, সস্ত্রীক একই পোশাকে ফিতে কাটলেন মণ্ডপের।
কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান সেই ডিপ্ল্যোটদের একজন।
এবারে রাজডাঙার মণ্ডপ সজ্জার ভাবনা কী? শিল্পী সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, মানুষের মন সর্বদা খুঁজে বেড়ায় অজানা রহস্যকে জানতে। সভ্যতার সূচনা থেকে তাই সে বারবার ছুটেছে না দেখা, অজানার পথে। বরাবর মানুষের কাছে মহাবিশ্ব ও তার বিশালতা হয়ে আছে এক অতল রহস্যের খনি। তাই মানুষের আকর্ষণও বেশি সেই রহস্য সমাধানের জন্য। প্রাণিজগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ সব অজানার অন্ধকার কাটিয়ে প্রমাণ করতে চায় নিজের শ্রেষ্ঠত্বা। মানুষ তাই একদিকে যেমন মহাবিশ্বের সঙ্গে মনের যোগস্থাপন করতে চেয়েছে, অন্যদিকে চেয়েছে সরাসরি সেখানে পৌঁছাতে।
‘ভারতীয়, ইনকা, মিশরীয় প্রভৃতি প্রতিটি প্রাচীন সভ্যতায় মূল ভাবনাই সৃষ্টির রহস্যকে প্রবলভাবে খোঁজা। তাই নানা পথ ও নানা সময়ের মধ্য দিয়ে মিলিত হতে চেয়েছে সৃষ্টির অধিকারীর সঙ্গে। তেমনই ইঙ্গিত মেলে প্রাচীন সভ্যতাগুলির থেকে। এই প্রবল ইচ্ছার জন্য মানুষ চিরকালই পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করতে চেয়েছে সমগ্র বিশ্বকে। পাশাপাশি ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে গেছে প্রত্যক্ষ উত্তরণের। মানুষরূপী ভাণ্ডের সঙ্গে ব্রহ্মাণ্ডের এই যে যোগাযোগ স্থাপনের ইচ্ছা ও প্রয়াস, সেটিই তুলে ধরেছি রাজডাঙা নবউদয় সঙ্ঘের পূজামণ্ডপে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
ভিএস/এএ