ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

‘ভুল বুঝিয়ে পশ্চিমবাংলা জয় করা যাবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
‘ভুল বুঝিয়ে পশ্চিমবাংলা জয় করা যাবে না’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: এ বছরের প্রথমার্ধে ভারতে লোকসভা ভোট (জাতীয় নির্বাচন) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সম্ভবত মে কিংবা জুনে। তার আগে মোদি সরকারকে ফেলতে একদিকে যেমন রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস উঠে পড়ে মাঠে নেমেছে অপরদিকে আঞ্চলিক দলগুলো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তোড়জোড়ে ধীরে ধীরে একত্রিত হচ্ছে। আর এই ফ্রন্ট মমতার উদ্যোগে ১৯ জানুয়ারী কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রথম সমাবেশ ডেকেছে। সমাবেশকে বড়সড় সাফল্য দিতে রাজ্যে চলছে জোর প্রচার অভিযান। প্রচারের মুল দায়িত্বে আছেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন (১৩ জানুয়ারি) হুগলির এক জেলা সমাবেশে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, 'পাঁচ রাজ্যে হারার পর দিল্লিতে বসে অনেকে বাংলা জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। যারা এই স্বপ্ন দেখছেন, তাদের বলছি, আপনারা তো বাংলা বলতে, লিখতে বা পড়তেও জানেন না।

আগে বাংলা শিখে আসুন, তারপর মানুষকে বুঝিয়ে বাংলা জয়ের কথা ভাববেন। তবে হাজার চেষ্টা করেও রাজ্যের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে পশ্চিমবাংলা জয় করা যাবে না। তাই আপনারা যত স্বপ্নই দেখুন না কেন, নির্বাচনের পর  পশ্চিমবাংলা থেকে একটা বড় লাড্ডু পাবেন। আমরা সেই লাড্ডু প্রস্তুত করে রাখছি। '

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সাড়ে চার বছরে নরেন্দ্র মোদী তার ব্যাক্তিগত প্রচারের জন্য ৫ হাজার ২৭৮ কোটি, বিদেশ ভ্রমণে ২ হাজার কোটি, একটি মূর্তি বসাতে ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন। আর আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ১০ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে কৃষক বান্ধব স্কিম চালু করেছেন। যার সাহায্যে রাজ্যে কোনো কৃষকের ৬০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হলে, তার পরিবার ২ লক্ষ রুপি আর্থিক অনুদান পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর নরেন্দ্র মোদীর তফাতটা রাজ্য কেন, গোটা দেশ জানে। সেজন্যই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ১৯ জানু্যারির সভায় আমাদের নেত্রীর হাত শক্ত করার জন্য কলকাতায় হাজির হচ্ছেন। ' 

যুব সভাপতি আরও বলেন, 'এর আগেও ব্রিগেডে সমাবেশ হয়েছে। তবে এবারের ব্রিগেড সমাবেশের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এবারের সভায় কাশ্মীর থেকে ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লাদের মতোই অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এমকে স্ট্যালিন, শারদ যাদব, অখিলেশ যাদব, শারদ পাওয়ার, শত্রুঘ্ন সিনহার মতো নেতৃত্বরা হাজির হবেন। তাদের সামনে দেশের লোকসভা নির্বাচনে (জাতীয় নির্বাচন) বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতার কাজ শুরু করবেন আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবারের ব্রিগেড সমাবেশকে সফল করতে দলের প্রতিটি স্তরের কর্মীকে দায়িত্ব নিতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের যত আঘাত করবে, আন্দোলন ততই বাড়বে। '

বাংলাদেশ সময়: ০১০৩ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
ভিএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।