কলকাতা: দীর্ঘ বাম জামানার পতন করতে ২০১১ সালে মমতার স্লোগান ছিল ‘বদলা নয়, বদল চাই’। এই এক স্লোগানেই কাস্তে হাতুড়ির বদলে জোড়া ফুলে ভোট বাক্স ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।
এরপর ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগানে পরিবর্তন আসে। ‘হাত-হাতুড়ি-পদ্ম, বাংলার মানুষ করবে জব্দ। ’ কংগ্রেসের হাত চিহ্ন, বামদের কাস্তে-হাতুড়ি এবং বিজেপির পদ্মফুল চিহ্নকে এক ত্রিশুলের তিন ফলায় বিঁধে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
আবার বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। জিতলে মমতার সরকার হ্যাটট্রিক করবে। এই আশায় কোমর বেঁধে ময়দানে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে সবকিছুর। তাই পরিবর্তন এসেছে এবারের স্লোগানেও। ছবি, ক্যাপশন, হোর্ডিং, ব্যানারেও লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া।
এবারে মমতার ক্ষমতায় ফেরা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ বিজেপির পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ। ধারণা করা যাচ্ছে, ‘মোদীবাহিনী’ পূর্ণ শক্তি নিয়ে বঙ্গ দখলের জন্য ঝাঁপাবে। তাই মমতার এবারের নতুন স্লোগান ‘ম্যায় হুঁ না’।
লকডাউনে ঘরবন্দি জীবন কেটেছে। তবে থেমে থাকেনি রাজনৈতিক তর্ক, তর্জমা। আর সে প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভিড় এড়িয়ে রাজনৈতিক লড়াইও চলছে ভার্চ্যুয়ালি। দিনবদলের সঙ্গে রাজনীতির চেনা ছন্দও যেন নিজেকে বদল করে নিয়েছে।
সব রাজনৈতিক দল মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা স্লোগানে ভরিয়ে তুলছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর সেই নিরিখে বিরোধীদের টেক্কা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসেরে স্লোগান ‘ম্যায় হুঁ না’। তবে ‘দিদিকে’ ক্ষমতায় ফেরাতে আরও নতুন নতুন স্লোগান তৈরি হয়েছে। ‘চিন্তা নেই দিদি আছে’, ‘হাম হ্যায় না’, ‘বলছি আমজনতা, বাংলার পাশে মমতা’ ইত্যাদি।
তৃণমূল নেত্রীও আত্মবিশ্বাসী। বাংলার মানুষ তার সঙ্গেই আছে। ২০২১ জিতবে তার দলই। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং মানুষের সুরক্ষায় সরকার কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা সামাজিক মাধ্যমে নিত্যনতুন কায়দায় তুলে ধরা হচ্ছে। যা সাধারণের নজরও কাড়ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এখন যুগ পাল্টেছে, মানুষ দেয়াল লিখনের চেয়ে ফেসবুকের ওয়াল লিখনে বিশ্বাসী। ফলে প্রচারের ধরন, স্লোগান, সবকিছুতেই নতুনত্ব আনার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২০
ভিএস/টিএ