ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ, যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১
কলকাতা বইমেলার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ, যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

কলকাতা: চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেকটা পরে জুলাই মাসে হতে চলেছে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। এবারের বইমেলায় থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ।

এই প্রথম কোনো দেশ কলকাতা বইমেলায় তৃতীয়বারের মতো থিমকান্ট্রি হতে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড।

গিল্ডের পক্ষ থেকে সভাপতি ত্রিদিব কুমার চ্যাটার্জি বলেন, যেহেতেু চলতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর; যা দুই দেশের কাছে গর্বের বিষয়। ফলে বাংলাদেশ-ভারতের সৌহার্দ্য বৃদ্ধির পরিকল্পনায় এবার থিমকান্ট্রি বাংলাদেশকে করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।

সংস্থাটির সভাপতি বলেন, এই পরিকল্পনা গতবারই আমরা ঠিক করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। ফলে সেই সময় আমি এবং সাধারণ সম্পাদক শুধাংশু শেখর দে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।

২০২০ ছিল সবার কাছে বিষাদময় সময়। তবে এবার সরকারি রীতি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালোর দিকে। জুলাই মাসের মধ্যে সম্ভবত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে গিল্ডের পক্ষ থেকে এবার ‘একুশে ভাষা উৎসব’ পালন করা হবে। এরসঙ্গে থাকবে কলকাতা লিটেরারি ফেস্টিভ্যাল।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশন প্রধান তৌফিক হাসান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে খুশির খবর যে, আবার বাংলাদেশ থিমকান্ট্রি হতে চলেছে। তবে গিল্ডের কাছে আবেদন রাখব, এবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য ৫ হাজার বর্গফুট জায়াগা দেওয়া হোক।

গত বছর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের আয়তন ছিল সাড়ে তিন হাজার বর্গফুট। বাড়তি জায়গা আবেদনের কারণ হিসেবে তৌফিক হাসান বলেন, যে সময় কলকাতা বইমেলা শুরু হবে সেই সময় একুশে বইমেলা শেষ হয়ে যাবে। প্রতিবার দুই দেশে দুই মেলা একসাথে চলার কারণে অনেক প্রকাশনা সংস্থা কলকাতায় আসতে পারে না। গতবার মোট ৪০টি প্রকশনা কলকাতা বইমেলায় অংশ নিয়েছিল।

প্যাভিলিয়নের আয়তন বাড়ানো প্রসঙ্গে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড সমস্ত রকম চেষ্টা করবে। আশা করছি উপ-হাইকমিশনারের কথা আমরা রাখতে পারব।

তবে জুলাইয়ের ঠিক কোন তারিখে কলকাতা বইমেলা শুরু হবে তা এখনও ঠিক  হয়নি। যেহেতু থিমকান্ট্রি বাংলাদেশ তাই সেখানকার আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলে দিন ঠিক করা হবে। বিশেষত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কীভাবে সময় দিতে পারেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে।

২০১৯ সালে বইমেলা শুরু হয়েছিল ২৮ জানুয়ারি। শেষ হয়েছিল ৯ ফ্রেব্রুয়ারি। ১৩ দিনের মেলার থিমকান্ট্রি ছিল রাশিয়া। সেবারে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন হয়েছিল বিশ্বভারতীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ভবনের আদলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।