কলকাতা: রাজভবনে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে মমতা সরকারের মন্ত্রীরা সোমবার (১০ মে) শপথ নেন। শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জড়দীপ ধনকড়।
যথারীতি মুখ্যমন্ত্রী পদে আছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এর সাথে স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি দপ্তর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, উদ্বাস্তু উন্নয়ন ও পার্বত্য দপ্তর নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগের দুই মেয়াদে অর্থ দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন অমিত মিত্র। এবার তার হাতেই থাকলো অর্থ মন্ত্রক।
উল্লেখযোগ্য বদল হলো শিক্ষা বিভাগের। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন ব্রাত্য বসু। এর আগে অল্প সময়ের জন্য শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় পেলেন শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর। সেই সঙ্গে তার হাতে তথ্য প্রযুক্তি এবং পরিষদীয় দপ্তর থাকছে।
খাদ্যমন্ত্রী হলেন রথীন ঘোষ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পেলেন বন ও অচিরাচরিত শক্তি দপ্তর।
একদা শুভেন্দু অধিকারীর দপ্তর অর্থাৎ পরিবহনমন্ত্রী হলেন ফিরহাদ হাকিম। সম্ভবত তাকে আবার কলকাতা করপোরেশনের মেয়র করতে পারেন মমতা। যদিও করপোরেশনের ভোট এখনও হয়নি।
পুর-নগরোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আইনমন্ত্রী হলেন মলয় ঘটক। কৃষিমন্ত্রী হলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি পেলেন মৎস্য দপ্তর। রত্না দে নাগকে দেওয়া হয়েছে পরিবেশ দপ্তর।
অপরদিকে রাজ্যে ৭৭টি আসন পেয়ে বিরোধী আসনে বসেছে বিজেপি। রাজ্যে বিরোধী নেতার মুখ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার নির্বাচনে নন্দীগ্রামে পরাজিত করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই বিধানসভায় বিরোধী নেতার দৌড়ে প্রথম থেকে ভেসে আসছিল শুভেন্দুর নাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/