কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে রোববার (১৬ মে) থেকে শুরু হয়েছে ১৫ দিনের লকডাউন। শহর ও শহরতলির চিত্রটা হুবহু গত বছরের মত।
রোববার ছুটির দিন থাকায় এবং লকডাউন ঘোষণায় কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে রাস্তাঘাট একবারে ফাঁকা। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য দিনের থেকে পথে অনেক মানুষ কম। পথচারীদের প্রত্যেকেই মুখে ছিল মাস্ক। জায়গায় জায়গায় চলছে পুলিশের কড়া নজরদারি। যারা গাড়ি নিয়ে যাওয়া আসা করছে তাদের প্রত্যেককে ধরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা কোথায় যাচ্ছেন এবং কোথা থেকে আসছেন। পথে বের হওয়ার যথাযথ কাগজ আছে কিনা তাও দেখতে চাওয়া হচ্ছে।
তবুও নানা অছিলায় কলকাতার পথে বেরিয়েছেন অনেকে। এ দিন শুধুমাত্র বেলা একটা পর্যন্ত ৪০ জন ব্যক্তিকে আটক এবং ২৫টি ব্যক্তিগত গাড়ি মহামারি আইনে বাজেয়াপ্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। বিমানবন্দন এবং হাওড়া, শিয়ালদহ রেলস্টেশনে প্রবেশ ও বাইরের পথে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রত্যেক গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখা হচ্ছে। তারপরেই সেই গাড়িকে প্রবেশ বা বেরোতে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন অনেক যাত্রীরা। পথে মিলছে না ট্যাক্সি বা উবার জাতীয় ক্যাব।
অপরদিকে রাজ্যে এ দিন থেকে মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্য প্লাস্টিকের তৈরি পিপি কিট ব্যবহারে নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। তার বদলে ব্যবহার করা হবে কেমিক্যাল মিশ্রিত মোটা সুতির কাপড়। এর কারণ হিসেবে সরকার জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির সৎকারের জন্য বৈদ্যুতিক চুল্লিতে প্লাস্টিকে মোড়ানো শবদেহ ঢোকালে বারে বারে দেখা দিচ্ছে যান্ত্রিক গোলোযোগ। একইভাবে শবদেহ সমাধিস্থ করাতেও ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের। ফলে প্লাস্টিকের বদলে সরকারি খরচে সুতির তৈরি কিট ব্যবহার করা হবে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতের দিল্লিতেও এখনও আয়ত্তে আসেনি করোনা সংক্রমণ। দিল্লিতে আরও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রোববার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, আগামী ২৪ মে সকাল ৫টা পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে রাজধানীতে। তবে, লকডাউনের জেরে গোটা দিল্লিজুড়েই সংক্রমণ হার কিছুটা নিম্নমুখী বলেও জানিয়েছে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২১
ভিএস/এএটি