ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আমার মন্ত্রীদের গ্রেফতার করলে আমাকেও করতে হবে: মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
আমার মন্ত্রীদের গ্রেফতার করলে আমাকেও করতে হবে: মমতা ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: বেলা যত বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পারদ তত চড়ছে।  সোমবার (১৭ মে) সকালে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, গ্রামন্নোনয় মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি, বিধায়ক মদন মিত্র এবং বিজেপি নেতা শোভন চ্যাটার্জি।

যদিও দল হারার পর বিজেপি থেকে শোভন প্রায় ব্রাত্য।

এই চারজনকে কলকাতার সিবিআই দপ্তর নিজাম প্যালেসে আনা হয়েছিল সকালেই। তারপরই দপ্তরে পৌঁছে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। চোখ মুখের ভাব ছিল স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ। সোজা নিজাম প্যালেসের ভেতরে যান তিনি। দেখা করেন ফিরহাদ, মদন, সুব্রতর আইনজীবীদের সঙ্গে। সিবিআিই কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।

এর ৪০ মিনিট পর মমতার আইনজীবী নিচে নেমে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেভাবে তার মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সে পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করতে হবে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন। এমন একটা গ্রেফতার না জানেন মুখ্যমন্ত্রী, না জানেন বিধান সভার অধ্যক্ষ। এটা বেআইনি গ্রেফতার। ইতোমধ্যে শহরের জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে কর্মী-সমর্থদের বিক্ষোভ।

সিবিআইর পক্ষ থেকে জানা গেছে, এদিন সকালেই নিজাম প্যালেসে এনে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করানো হয়েছে। আজই চার্জশিট পেশ করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর দুপুর ১টার দিকে তোলা হবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। যা নিয়ে গোটা রাজ্যে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে।

তবে রাজ্যপাল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন দিলেও এই তালিকায় নাম নেই নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর। তালিকায় কেন শুভেন্দু অধিকারীর নামে নেই, সেই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের ব্যাখ্যা, শুভেন্দু অধিকারী নারদাকাণ্ডের সময় সংসদ সদস্য ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে গেলে দিল্লির সংসদ ভবনের অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। তাই নাম নেই শুভেন্দুর।

২০১৬ সালে মমতার সরকারের ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গোপন ক্যামেরার সামনে ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই ২০১৭ সালে নারদাকাণ্ডে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের ওপর। তারপর থেকেই মামলা চলছে। এদিন ৪ নেতার গ্রেফতারের পর আরও একবার নারদা ঘুষকাণ্ড নিয়ে রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন>> পশ্চিমবঙ্গে ৪ হেভিওয়েট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
ভিএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।