কলকাতা: রাজ্যে চলছে লকডাউন, জেলের ভেতরে রয়েছেন মমতার মন্ত্রীরা। এমনই আবহে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বৃহস্পতিবার (২০ মে) ভার্চ্যুয়ালি মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী-মমতা।
তবে বৈঠক শেষে মমতার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে মোদী একটি কথাও বলতে দেননি।
এদিন সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো মানছেন না প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক ডেকে মুখ্যমন্ত্রীদের কথাই বলতে দিলেন না তিনি। কোনো সৌজন্যতা নেই। চরম অসম্মানিত বোধ করছি। তিন কোটি ভ্যাকসিন দিতে বলেছিলাম। সে নিয়ে প্রশ্ন করার কথা ছিল। তার সুযোগই দিল না প্রধানমন্ত্রী। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ‘সব ঠিক হ্যায়। ’ কী ঠিক হ্যায়? তাহলে গঙ্গায় শবদেহগুলো ভেসে আসছে কোথা থেকে? কাউকে কোনো কথা বলতে দেওয়া হলো না। সবার প্রতিবাদ করা উচিত।
‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থার কথা আমাকে জানানোর সুযোগই দিল না। রাজ্যে ভ্যাকসিনের ঘাটতি চলেছে। অক্সিজেন আমাদের রাজ্য থেকে নিয়ে চলে যাচ্ছে। রেমডেসিভির নেই। এসব জানাব সেই সুযোগই নেই? এক তরফা ভাষণ দিয়ে গেলেন। দিল্লির শাহেনশাহ সেজে বসে আছেন? মুখ্যমন্ত্রীদের কাউকে বলতে দিলেন না কেন? হাতে এত প্রশ্ন নিয়ে পুতুলের মতো বসে রইলাম। মুখ্যমন্ত্রীদের যদি বলতেই দেবেন না তাহলে বৈঠক ডাকলেন কেন? প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা মানলে দেশে ভ্যাকসিন দিতে ১০ বছর লাগবে। ’
এরপরই নারদা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ববি (ফিরাদ হাকিম) অনেক কাজ করে। আমাদের রাজ্যে জীবন বাজি রেখে ও প্রথম কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছিল। সেই ববি, সুব্রতদাদের আটকে রেখেছে ওরা। এর সঠিক বিচার হবে।
অন্যদিকে, ১৭ মে ববি, সুব্রতসহ চার হেভিওয়েট নেতাকে সিবিআই গ্রেপ্তারের পর এদিনও কলকাতা হাইকোর্টে শুনানি স্থগিত হয়ে গেল। ফলে জেলেই থাকতে হবে তাদের। আগামীকালও যদি শুনানি না হয়, তাহলে সেই সোমবার। শনি, রবি ছুটির দিন হওয়ায় নেতা-মন্ত্রীদের আপাতত থাকতে হবে জেলেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২১
ভিএস/এইচএডি