কলকাতা: নারদা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত সরণ এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর নতুন বেঞ্চে নথিভুক্ত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মামলা।
গত ১৭ মে নারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হন রাজ্যের ৪ মন্ত্রী। ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন কলকাতার সিবিআই দফতরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা, দপ্তরের ভেতরে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, নিম্ন আদালতে বিচার চলাকালে আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এই বিষয়গুলিকে একত্রিত করে নারদা মামলা অন্যত্র সরানোর দাবি করে সিবিআই। তাদের দাবি, প্রভাবশালীদের উপস্থিতির ফলে নিম্ন আদালতের শুনানি নিরপেক্ষ হয়নি।
পরে মামলা সরে আসে কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর ২১ মে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলে মামলার শুনানি। সেখানে সিবিআইয়ের আইনজীবী ছিলেন তুষার মেহতা। তার সওয়াল জবাব পর্ব শেষে অভিযুক্তদের হয়ে সওয়াল জবাব শুরু করেন কংগ্রেসের দাপুটে নেতা তথা প্রভাবশালী আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি।
৯ জুন অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি সওয়াল জবাবের মাঝখানে মুখ্যমন্ত্রীকে থার্ডপার্টি করে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এক পক্ষের সওয়াল শেষে নতুন করে হলফনামা নিলে তার ওপর ফের আলোচনা হবে। তাই তখন মুখ্যমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেননি আদালত। এরপরই ব্যক্তিগত জামিনে চার মন্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয় জেল থেকে।
হাইকোর্টের ওই দিনের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ