কলকাতা: ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও দেশটিতে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবার চতুর্থ টিকা আনার অনুমোদন দিলো ভারত সরকার।
সম্প্রতি সংস্থাটি মডার্নার ভ্যাকসিন আনার জন্য ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে অনুমোদন চেয়েছিল। জানা যায়, মঙ্গলবারই (২৯ জুন) ডিসিজিআই সেই অনুমোদনে ছাড়পত্র দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের করোনা টাস্কফোর্সের প্রধান ভিকে পাল জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ড, স্পুতনিক ভি ও মডার্না- এই চারটি ভ্যাকসিন ভারতে অনুমোদন পেয়েছে। খুব শিগগিরই ফাইজারের সঙ্গেও চুক্তি সেরে ফেলবো। দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতির বিষয় এবং করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ভারতের বাজারে বিদেশি ভ্যাকসিন ব্যবহার গাইডলাইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপানে অনুমোদিত কোনো টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় থাকলে তা ভারতে ব্যবহার করা যাবে। সেই শর্ত পূরণ করেছে মর্ডানার ‘এমআরএনএ-১২৭৩’। ভ্যাকসিন সংস্থার দাবি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর তাদের টিকা।
পাশাপাশি দিনকয়েক আগেই ফাইজার ভ্যাকসিনের সিইও অ্যালবার্ট বোরালা দাবি করেছেন, খুব শিগগিরেই ভারতের বাজারে আসতে চলেছে তাদের ভ্যাকসিন। সেটির জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদনের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়। এছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ এর থেকে ১০ কোটি টিকা আনতে চলেছে ভারত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিস ও বায়োমেডিকাল অ্যাডভান্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি যৌথভাবে এমআরএনএ-১২৭৩ ভিত্তিক মডার্না ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে। আমেরিকায় এর নাম স্পাইকভ্যাক্স। গত নভেম্বরের ৩০ তারিখ তৃতীয় পর্বের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ্যে এনেছিল মডার্না। যেখানে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ কার্যকরিতার দাবি তুলেছে সংস্থাটি। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে আমেরিকা মডার্নাকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
ভিএস/এএ