কলকাতা: ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি জোর কদমে শুরু হলেও এখনও পশ্চিমবঙ্গে টিকার ঘাটতি রয়েছে। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পায়নি বাংলার প্রায় সাড়ে ৮ লাখের বেশি মানুষ।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বুধবার (৩০ জুন) জানান, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গে যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসবে তার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে শুধু দ্বিতীয় টিকা হিসাবে। অর্থাৎ যাদের দ্বিতীয় টিকা বাকি শুধু তাদেরই দেওয়া হবে সেই ভ্যাকসিন। রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য কর্তা, কলকাতার পুর কমিশনার ও সব মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের এ নতুন নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যতক্ষণ না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য, এমনটাই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকাকরণে বাকি রয়েছে মোট ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের এবং দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৬২ জনের। যাদের অনেক আগেই দেওয়া উচিত ছিল দ্বিতীয় ডোজ। ফলে কলকাতা পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে ৩০ জুন এবং ১ জুলাই যাতে শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়। টিকাকরণে এ পদ্ধতিতে চললে করোনার তৃতীয় ঢেউ রোধ করা যাবে বলে মনে করছে মমতার সরকার।
পাশাপাশি রাজ্যে ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে ফের মোদী সরকারকে চিঠি দিয়েছে মমতা। টিকাকরণের জন্য কমপক্ষে ১ থেকে ২ কোটি ভ্যাকসিন দরকার, সেখানে রয়েছে মাত্র ৬ লাখ। রাজ্যের নিরিখে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪পরগনা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং মালদায় সব থেকে বেশি বাকি রয়েছে দ্বিতীয় টিকার ডোজ।
অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। রাজ্যটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৭৯ জন। তবে বাংলায় গত কয়েকদিন ধরে ২ হাজারের নিচে রয়েছে করোনার দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা। এদিন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৯৫ জন নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩০৫ জন। রাজ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও তুলনায় বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪ জন। এ নিয়ে মোট করোনা মুক্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫১০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/