কলকাতা: ভারতে ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন ও উত্তরপ্রদেশসহ বেশ কয়েক রাজ্যের বিধানসভা ভোট। ফলে মোদিবিরোধী জোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে।
মূলত এদিন সোনিয়া গান্ধী এ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, যুক্তির ওপর ভিত্তি করে পরিকল্পনা করতে হবে। প্রাদেশিক বৈরতা দূরে সরিয়ে এক জোট হয়ে বিজেপি বিরোধিতা করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল্যবোধ, সংবিধানের নীতি ও বিধানগুলোতে বিশ্বাসী এক সরকার গঠনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
এদিনের বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী তার বক্তব্যেও বিজেপি সরকারের এ আচরণের নিন্দা করা হয়। একইসঙ্গে বাদল অধিবেশজুড়ে সংসদের উভয় কক্ষের অভ্যন্তরে ও বাইরে বিরোধীদের একজোট হয়ে সরকার বিরোধীতারও প্রশংসা করেছেন তিনি। সংসদ ভবনের ভেতরে বিরোধীরা যেমনি এক সুরে কথা বলছেন সংসদের বাইরে আমাদের এককাট্টা থাকতে হবে।
কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, নিম্ন জাতের অধিকার রক্ষার স্বার্থে সংবিধান সংশোধন বিল পাসে বিরোধী দলগুলো এবারের বাদল অধিবেশনে সরকার পক্ষকে সমর্থন করেছে। অর্থাৎ তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, দেশের স্বার্থবাহী বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিরোধিরা শাসকের পাশেই রয়েছে। দায়িত্বশীল বিরোধীতাই তাদের উদ্দেশ্য।
এদিন ১৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দিতে। মমতা-সোনিয়া ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেনরা, বিহারের আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। এমনকি এ ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও।
কিন্তু মোদিবিরোধী জোটের অন্যতম নেতৃত্ব সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও বহু জন সমাজবাদী পার্টির নেত্রী মায়াবতী উল্লেখযোগ্যভাবে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সামনেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন সেখানে যোগীবিরোধী মুখ অখিলেশ ও মায়াবতী। এ মুহূর্তে মোদিবিরোধী জোটে উপস্থিত থাকলে তাহলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিবিরোধী ভোটে তারাও ভাগ বসাতে পারে। সে কারণেই অখিলেশ ও মায়াবতী এ দিনের বৈঠকে যোগ দেননি। এছাড়া নরেন্দ্র মোদিবিরোধী ঐক্য জোটের মুখ কে হতে পারে তাও এখনো পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব হয়নি। ফলে মোদিবিরোধী ঐক্যে বাস্তবে কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২১
ভিএস/আরবি