আগরতলা (ত্রিপুরা, ভারত): ইউক্রেন থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের একটি জেলা শহর ধর্মনগরের নয়াপাড়ার বাসিন্দা সন্দীপ নাথের বাড়িতে এখন গভীর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে তাদের পরিবারের সবার মধ্যে নেমে এসেছে এই উদ্বেগ।
কারণ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সিভ চাংপো ন্যাশনেল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে এমবিবিএসের শিক্ষার্থী সন্দীপ নাথের ছেলে দ্বীপায়ন নাথ (১৯)। তিনি গত ১০ ডিসেম্বর ত্রিপুরা থেকে ইউক্রেনে যান।
রাশিয়া-ইউক্রেন বিরোধের কারণে গত কিছুদিন ধরেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন সন্দীপ নাথের পরিবার। এখন রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করায় আরও বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা।
সন্দীপ নাথ জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি ছেলের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় কিয়েভে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের নির্দেশ অনুসারে তাদেরকে এখন বাংকারের মধ্যে রাখা হয়েছে। বাংকারের মধ্যে তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং খাদ্যের কিছু সমস্যা রয়েছে বলেও জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ হচ্ছে তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা চাইলে যে কোনো সময় ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বাংকারের মধ্যে থাকায় টেলিফোন এবং ইন্টারনেটের নেটওয়ার্ক থাকছে না। সে তার সুবিধামত বাংকার থেকে বেরিয়ে সামান্য সময়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারছে।
ভারত সরকার চেয়েছিল তাদেরকে পোল্যান্ড পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু রাশিয়ার দিক থেকে বোমা বর্ষণের ফলে এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে রাস্তাঘাটসহ প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ইউক্রেনে। ফলে সে কবে আসবে তা ভেবে উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা। ধর্মনগর থেকে ইউক্রেনে আরও তিনজন মেডিক্যাল ছাত্র রয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন ছেলে এবং একজন মেয়ে। এ অবস্থায় তারা দেশে ফেরার জন্য ভারত সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২।
এসসিএন/এমএমজেড