ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

পি কে হালদারসহ ৫ জন ফের ১১ দিনের জেল হেফাজতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২২
পি কে হালদারসহ ৫ জন ফের ১১ দিনের জেল হেফাজতে লকআপে পি কে হালদার -বাংলানিউজ

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত}: পি কে হালদারসহ ৫ অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দিয়েছেন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক সৌভিক ঘোষ। এ আদেশের ফলে পিকে হালদারসহ আটক বাকিদের আগামী ৭ জুন ফের আদালতে হাজির করা হবে ।

এদিন ইডি পক্ষের আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, আমরা ১৪ দিনের জেল হেফাজত চেয়েছি। সেই সঙ্গে তাদের জেলেও জেরার অনুমতি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। অপরদিকে পি কে হালদারের আইনজীবী হায়দার আলী ও সোমনাথ ঘোষ আদালতকে বলেন, আসামিরা গত ১৪দিন ধরে ইডির রিমান্ডে ছিলেন। এ সময় তারা কি করেছেন? আসলে ওনারা সময় নষ্ট করছেন। এতই যদি তাদের বিদেশি বলা হয়, তাহলে ফরেনার অ্যাক্টসে মামলা দিচ্ছে না কেন?

উত্তরে অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতকে বলেন, এটা এত সহজ ব্যাপার নয়। এই টাকা বাংলাদেশের। বেআইনিভাবে ভারতে ১০ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে। ভারতের নাগরিক হিসেবে সব নথি আছে হালদারদের কাছে। খুবই গুরতর বিষয়। এটা একটু গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করুন।

এরপর বিচারক ১১ দিনের (২৭মে -৭জুন) জেল হেফাজতের আদেশ দেন এবং ভারতীয় অর্থনীতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে (ইডি) জেরা করার অনুমতি দেন।

আদালত থেকে বের হয়ে অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, পি কে হালদারসহ বাকি ৫ জনকে ১১ দিনের জেল হেফাজত নেওয়া হয়েছে। কারণ আদালতে আমাদের সাবমিশন ছিল, ভারতে পি কে হালদার তার প্রতারণার জাল ছড়িয়েছেন। এর সঙ্গে ইডি যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি পেয়েছে তার কোনো সোর্স অব ইনকাম দেখাতে পারেনি। বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি নিয়ে এখন অনুসন্ধান চলছে।

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদরের ১৩টা বাড়ি এবং ফ্ল্যাটসহ বোট হাউস পাওয়া গেছে। এছাড়া ৭টা খালি জমির মধ্যে কয়েকটা পি কে হালদারের নামে, কয়েকটা বেআইনি নামে পাওয়া গেছে।

আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী

এর পাশাপাশি তিনি বেআইনিভাবে যে অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার করে এনেছেন তা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে পি কে হালদারদের নামে ১৩টি কোম্পানিও পাওয়া গেছে।

অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি পি কে হালদারকে নিতে চায় তাহলে সেটা দুই দেশের ব্যাপার। সেখানে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সরকারের মধ্যে জটিলতা কেটে গেল নিশ্চয়ই নিতে পারবে।

এর প্রেক্ষিতে আদালতের বাইরে আসামি পক্ষের দুই আইনজীবী বলেন, আমরা পি কে হালদার নামে কাউকে চিনি না। আমরা যার হয়ে মামলা করছি তিনি শিবশঙ্কর হালদার এবং তিনি ভারতীয়।

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে গত ১৪ই মে পি কে হালদারকে অশোকনগর থেকে  গ্রেপ্তার করে এবং ১৫ দিন তাকে নিজেদের রিমান্ডে নেয়। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ মে) দুপুর ২টায় তাদের আদালতে তোলা হয়। পি কে হালদারদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রথমটি অবৈধ অর্থপাচার আইনে, দ্বিতীয়টি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২২
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।