কলকাতা: প্রয়াত হলেন বাংলার খ্যাতনামা পরিচালক তরুণ মজুমদার।
এই কিংবদন্তি সোমবার (৪ জুলাই) কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৪ জুন থেকে ৯২ বছর বয়সী ওই পরিচালকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কয়েকদিন কলকাতার সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমের (পিজি) ক্রিটিকাল ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে সর্বক্ষণ কড়া নজরদারিতে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা।
বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁকে ক্রিটিক্যাল ইউনিটে লাইফ সার্পেটে রাখা হয়েছিল। এদিন সকাল থেকেই তরুণ মজুমদারের শারীরিক পরিস্থিতি ছিল যথেষ্টই উদ্বেগজনক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তার চেতনা শক্তি ক্রমশই কমে যাচ্ছিল। সঙ্গে শরীরে ক্রিয়েটিনের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এমনকি সেপ্টিসেমিয়ার বিষয়টিরও উল্লেখ করা হয়েছে। বয়স বেশি থাকার কারণে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি বহু বছর ধরেই কিডনির সমস্যা ভুগছিলেন তরুণ মজুমদার।
এর আগে, অবস্থার অবনতির জন্য ২৩ জুন পরিচালকের শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
রোবরার (৩ জুলাই) দিনগত রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন থাকলেও তা দেওয়ার অবস্থায় তিনি ছিলেন না। ১০০ শতাংশ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। পাশাপাশি ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তার। অবশেষে সোমবার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে তরুণ মজুমদারের প্রয়াত খবর মেলে।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের বগুড়ায় জন্ম তরুণ মজুমদারের। কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক তার বরাবরই ছিল। প্রায় ৬০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ার তার। ১৯৫৯ সালে বিনোদন জগতে পা রাখেন। কাজ করেছেন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। বলা হয়, ৭০ দশকে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় পরিচালক। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’। ১৯৬২ সালে‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কারও পান এই পরিচালক। ১৯৯০ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
ভিএস/এএটি