কলকাতা: শেষবার তাকে কলকাতায় দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের প্রচারে। আবার এক বছরেরও বেশি সময় পার করে কলকাতায় এলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
সোমবার (৪ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পুরোদমে বিজেপির হয়ে কাজে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
এদিন মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি না, আমি মানুষ তাই নীতি করি। বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই এবং সেটা করে যাব। ’
রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে কী আলোচনা হলো? সেই বিষয়ে এদিন প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি মিঠুন চক্রবর্তী।
তিনি শুধু জানান, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি সেটা করবেন।
সোমবার রাজ্য বিজেপি প্রধান দপ্তরে যান মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির রাহুল সিনহা, অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে রাজনীতিতে কামব্যাকে মহাগুরু’র। আর রাজনীতির ময়দানে ফিরেই সুপারহিট। উজ্জীবিত পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেডের সভা থেকে হাতে দলীয় পতাকা তুলে নেন মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর গোটা বাংলাজুড়ে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন তিনি।
‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘আমি জলঢোড়াও নই, বেলোবোড়াও নই। আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি। ’ রাজ্যের বিভিন্ন জনসভায় অভিনেতার মুখে বিখ্যাত সেসব সংলাপের কারণে জন সমাগম হয়েছিল প্রচুর। তবে ভোটের ফল বের হতেই দেখা যায়, বিজেপির বাংলায় সরকার গড়ার স্বপ্ন বিফলে গেছে। এরপর থেকে বঙ্গ রাজনীতিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখা যায়নি।
তবে মিঠুনের ফের সক্রিয় হয়ে ফেরা এবং ফিরেই বৈঠক, সাংবাদিক সম্মেলনের কারণে সামান্য উজ্জীবিত রাজ্য বিজেপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২২
ভিএস/এএটি