ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মাদক ঠেকাতে ত্রিপুরায় পুলিশ প্রধানদের কনফারেন্স 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
মাদক ঠেকাতে ত্রিপুরায় পুলিশ প্রধানদের কনফারেন্স 

আগরতলা (ত্রিপুরা): মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্য। কি করে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা মাদক পাচার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা যায় সেজন্য আলোচনা হচ্ছে আগরতলায়।

 

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) থেকে আগরতলায় শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর পুলিশ প্রধানদের ২৭তম কনফারেন্স।  

ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে উপস্থিত রয়েছেন ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজি) অমিতাভ রঞ্জনসহ উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর ডিজি, আইজি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা।

প্রথম দিনের কনফারেন্সের সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্য সচিব জে কে সিনহা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবকে স্বাগত জানান।

পরে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা উপস্থিত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন সময় মাদক উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রবেশ করছে। এরপর এগুলো বাংলাদেশের যাচ্ছে। আবার ত্রিপুরাতে অবৈধভাবে উৎপাদিত গাঁজা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে। কি করে নেশা সামগ্রী পাচার বন্ধ করা যায়, এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। তিন বছর পর এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে ৩০বছর পর এই কনফারেন্স হচ্ছে বলে জানান। কোভিডসহ নানা কারণে মাঝে কিছু বছর এই বৈঠক হয়নি। বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রধানের পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সির আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। এর ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও গতিশীল হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।  

তিনি আরও বলেন, আগে উত্তরপূর্ব ভারতের উগ্রবাদীদের বারবাড়ন্ত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চেষ্টায় এখন দেশের এই অঞ্চলের শান্তি বিরাজ করছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া এক্টইস্ট পলিসির কারণে উত্তর পূর্বের প্রতিটি রাজ্য একই মালায় আবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে রাজ্যগুলোর নিজেদের মধ্যে সমস্যা হতো এখন এগুলি নেই বললেই চলে। উগ্রবাদও নেই বললেই চলে।  

উত্তরপূর্বের বিভিন্ন রাজ্য দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইসুতেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেন তিনি। জানান রোহিঙ্গা বা মধ্যে মধ্যে রাজ্য অনুপ্রবেশ করে এবং পুলিশ বিভিন্ন সময়ে তাদের আটক করছে।

পাশাপাশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে তিনি বলেন, রাজ্যের বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া হয়ে গিয়েছে। ছোট ছোট কিছু জায়গা বাকি রয়েছেনানা সমস্যার কারণে। এগুলোতেও যাতে দ্রুত বেড়ান নির্মাণ করা যায় সেজন্য আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২২
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।