ডেটা অ্যানালিটিকস সফটওয়্যার কোম্পানি ‘প্যালান্টির’ এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের একটি।
৮ মে, বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ৮% বেড়ে গেলে এর বাজার মূলধন পৌঁছে যায় ২৮১ বিলিয়ন ডলারে, যার ফলে তারা সেলসফোর্স-কে (যার বাজার মূলধন ২৬৮ বিলিয়ন ডলার) পেছনে ফেলে দশম স্থানে উঠে আসে।
এ বছর প্যালান্টির শেয়ারদর ৫৮% বেড়েছে, আর গত এক বছরে এর মূল্য পাঁচ গুণেরও বেশি বেড়েছে, যা কোম্পানিটিকে দ্বিতীয় বছর ধরে এসএন্ডপি-৫০০ এর শীর্ষ পারফর্মার করে তুলেছে। অথচ একই সময়ে, ট্যারিফ উদ্বেগ এবং অর্থনৈতিক ধীরগতির আশঙ্কায় নাসদাক সূচক ৭% হ্রাস পেয়েছে।
২০০৩ সালে পিটার থিয়েল ও বর্তমান সিইও অ্যালেক্স কার্প প্যালান্টির প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানির অগ্রগতির পেছনে মূল চালিকাশক্তি ছিল সরকারি খাতের সঙ্গে চুক্তি, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম। গত প্রান্তিকে তাদের সরকারি খাত থেকে আয় ৪৫% বেড়ে ৩৭৩ মিলিয়ন ডলার হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এআই-চালিত সিস্টেম নিয়ে ইউএস আর্মির সঙ্গে ১৭৮ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি।
বাজার মূলধনের ভিত্তিতে শীর্ষ ১০ মার্কিন টেক কোম্পানির তালিকায় রয়েছে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, এনভিডিয়া, অ্যামাজন, অ্যালফাবেট (গুগল), মেটা প্ল্যাটফর্ম (ফেসবুক), ব্রডকম, টেসলা, ওরাকল, প্যালান্টির। সেলসফোর্স— এই তালিকা থেকে সরে গেছে।
যদিও প্যালান্টির বাজারমূল্য বিশাল, তবে রাজস্ব ও মুনাফার দিক থেকে এটি এখনও পিছিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, সেলসফোর্স-এর আয় প্যালান্টির চেয়ে ১০ গুণ বেশি। প্যালান্টির মূল্য-আয় অনুপাত (পি/ই অনুপাত) অস্বাভাবিক রকমের বেশি— কোম্পানিটির বাজারমূল্য গত ১২ মাসের আয়ের ৫২০ গুণ, ভবিষ্যৎ আয় অনুযায়ী ২০০ গুণ এবং রাজস্ব অনুযায়ী ৯০ গুণ। এটি তুলনামূলকভাবে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি।
প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েল হচ্ছেন তথাকথিত ‘পেপল মাফিয়া’-র অংশ, যারা পেপল-এর প্রাথমিক দিনে যুক্ত ছিলেন। তার এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্কের মধ্যে ‘ভালোবাসা ও ঘৃণার’ একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। তবুও থিয়েল মাস্কের বেশ কয়েকটি উদ্যোগে বিনিয়োগ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে স্পেসএক্স, নিউরলিংক এবং বোরিং কোম্পানি।
এমএম