প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আয়োজন করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সবচেয়ে বড় সামিট ‘বিয়ার সম্মেলন এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫’।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আগামীকাল বুধবার (১৬ জুলাই) এবং ১৭ জুলাই ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ সামিট।
মঙ্গলবার আইসিটি ডিভিশনের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকার-সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া এবং প্রবাসী মেধাবীদের সমন্বয়ে এমন আয়োজন বাংলাদেশের ইতিহাসে এটাই প্রথম।
তিনি বলেন, সব ধরনের পলিসিগত সহায়তা প্রদানে আইসিটি ডিভিশন তথা বর্তমান সরকার প্রস্তুত। ইতোমধ্যে আমরা ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর পলিসির খসড়া প্রস্তুত করেছি এবং শিগগিরই চূড়ান্ত করে সবার সামনে তুলে ধরা হবে।
সচিব জানান, দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে (বিএনপি, জামায়াত ইসলাম এবং এনসিপিসহ বড় দল) এই আয়োজনে যুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে তারা আলোচক হিসেবে অংশ নেবেন।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের আমরা নানাভাবে সহযোগিতা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের কাছে সেমিকন্ডাক্টর ভিত্তিক পণ্য ও সেবা রপ্তানিকারকদের জন্য ৫-১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
মাত্র ২০ হাজার দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে ১৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারবে বলে মনে করেন আইসিটি বিভাগের সচিব।
বিয়ার সামিট এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম ২০২৫ এর আহ্বায়ক পাড্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসাইন বলেন, জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে এ ধরনের আয়োজন আমাদের সত্যি নতুন করে স্বপ্ন দেখায়। সারাবিশ্বের সামনে আমরা আমাদের মেধা, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তি প্রদর্শনের সুযোগ পাবো।
তিনি বলেন, এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো বায়োটেকনোলজি, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবটিক্স–এর মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের সম্ভাবনাকে নতুন করে খুঁজে দেখা; তরুণ মেধার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; শিল্প ও একাডেমিয়ার মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং এর মাধ্যমে দেশকে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নেয়া।
এবার বিয়ার সম্মেলনের পাশাপাশি একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের জন্য ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে প্রবেশের পথ সুগম করবে এবং দেশকে ডিপ টেকনোলজির একটা গ্লোবাল হাব হিসেবে পরিচিত করবে বলেও মন্তব্য করেন মোস্তফা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. মেহেদী হাসান, গ্লোবাল ফাউন্ডারস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রাশেদসহ মন্ত্রণালয় বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইএইচ/এমইউএম