ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভারতের ৭ অঙ্গরাজ্যে থ্রিজি বন্ধ!

সিজারাজ জাহান মিমি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৩
ভারতের ৭ অঙ্গরাজ্যে থ্রিজি বন্ধ!

দিল্লীর সর্বোচ্চ আদালত থেকে সাময়িক অব্যাহতি পেয়েছে এয়ারটেল কিন্তু ১৯ মার্চ দেওয়া সেই অব্যাহতি পত্রে ভারতীয় এয়ারটেলকে বিপুল পরিমানে অর্থদন্ড দেওয়া হয়। সুত্র মতে, অর্থের পরিমান ৩৫০ কোটি রুপি যেজন্য সেইসব স্থানে থ্রিজি সেবার সমাপ্তি ঘটাতে পারে ভারতের শীর্ষস্থানীয় এই মোবাইল অপারেটর।

সরকারের টেলিযোগাযোগ বিভাগ (ডট) এয়ারটেলের বিরুদ্ধে লাইসেন্স নিয়ম ভঙ্গনের অভিযোগ দায়ের করে। যাতে বলা হয় হরিয়ানা, মহারাস্তা, কলকাতা, উত্তরপ্রদেশ (ইস্ট), কেরালা, গুজরাট এবং মধ্য প্রদেশ এ ৭ টি যায়গায় এয়ারটেলের নিজস্ব স্পেকট্রাম না থাকা সত্বেও থ্রিজি সেবা প্রদান করছে।

ডট সুত্র আরো জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখেই বেআইনীর মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এয়ারটেলের মুখপাত্র জানান বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি অবহিত তবে অনেক বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই আদালতের নিয়মে ডটের এ অভিযোগ মোকাবেলার ক্ষমতা আছে এয়ারটেলের।

উল্লেখ্য, আদালত পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য করেছে ৮ মে। বর্তমানে এয়ারটেলকে সরকারের আদেশে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সম্মতি দিয়েছে আদালত। সুত্র মতে, ১৬ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে অনিচ্ছা সত্বেও এয়ারটেল তা মেনে নেয়।

সম্প্রতিকালে এয়ারটেল ঐসব স্থানে থিজ্রি সেবা দিতে ভোডাফোন এবং আইডিয়া সেলুলারের মতো টেলিকম প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। এদিকে ডট আরও জানিয়েছে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি এয়ারটেলের জন্য দিতীয় উদাহরণ। কারণ গত সেপ্টেম্বরেও একই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
 
সুত্র বলছে, এ মুহূর্তে আদালত কর্তৃক রায় পাওয়ার পর সেবা চালিয়ে যাওয়ার পথ খুজছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বিপুল পরিমাণে অর্থ মওকুফের বিষয়টি অনিশ্চিত।

এদিকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখে কেবল এয়ারটেল নয় এই সারিতে রয়েছে ভোডাফোন, আইডিয়া সেলুলার এবং রিলায়েন্স।

প্রসঙ্গত, সরকার মালিকানাধীন বিএসএনএল এবং এমটিএনএল’কে শর্তের উপরে থ্রিজি স্পেকট্রাম দেওয়া হয়। উক্ত শর্তাবলীতে বলা হয় তাদের নিজ নিজ সেবা সরবরাহকৃত এলাকায় সর্বোচ্চ নিলামের সমতুল্য একটি নির্দিষ্ট পরিমান মূল্য প্রদান করতে হবে। যেসময় বিএসএনএল ২০ টি কেন্দ্রে স্পেক্ট্রামের জন্য ১০ হাজার ১৪৭ কোটি রুপি দেয় সরকারকে। এছাড়া ২০১০ সালে সরকার থ্রিজি সেবা নিলামে তুললে কোনো প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান স্পেকট্রাম অধিকারে নেয়নি । পরে এয়ারটেল, ভোডাফোন এবং আইডিয়া সেলুলার থ্রিজি চুক্তির মাধ্যমে সেবা বিতরণ করতে শুরু করে কিন্তু যেসব স্থানে তাদের স্পেকট্রাম নাই সেখানেও কার্যক্রম শুরু করে ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।