‘মানবতার প্রতিচ্ছবি দারিদ্র্য, দারিদ্র্যের প্রতিচ্ছবি মানবতা এসবের কারণ এবং সমাধানের খোঁজে একটি প্রশ্ন’ ভাবনাকে নিয়ে ‘এজেন্ডা২১নাও’ ইন্টারনেট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২৪ ঘণ্টার এ সম্মেলনে অংশ নিতে বয়স হতে হবে ১৪ বছরের বেশি।
এ সম্মেলনে জার্মানির হামবোল্ড জিমনেশিয়াম ট্রায়ার স্কুল ছাড়াও ইউরোপের আরও পাঁচটি স্কুল দ্বারা। ইউনেস্কোর অ্যাসোসিয়েটেড স্কুল প্রজেক্ট নেটওয়ার্ক (ASPnet) নিয়ন্ত্রিত এ সম্মেলনে প্রতিবছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনে মতবিনিময় করে থাকেন। প্রাপ্ত অভিমতগুলোকে ইউনেস্কোর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়।
বিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে ইন্টারনেটের ব্যাপ্তী যখন সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলছিল, তখন শিক্ষার্থীদের জন্য নব্য আবিষ্কৃত এ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। জার্মানির স্কুল শিক্ষক মার্টিন জারাথ তার কজন সহকর্মী, শিক্ষক ছাড়াও এ বিষয়ে প্রথমে ভাবনা শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে শুরু সেসব ভাবনার ফসল হলো এজেন্ডা২১নাও সম্মেলন। প্রথম সম্মেলন হয় ২০০০ সালে। এবার ১৪ বছর পূর্তি। কনফারেন্সের নাম এজেন্ডা২১নাও হওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোতে সংঘটিত ধরিত্রী সম্মেলনের ওই এজেন্ডাটি। এ সম্মেলনের ২১ নম্বর এজেন্ডাটি ছিল বিশ্বের জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী।
এতে সবাইকে সাবধান হতে বলা হয়। আর তাই এজেন্ডা২১নাও কনফারেন্সে জোর দেওয়া হয় তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর। আর দেরি নয়, এখনই সতর্ক হতে হবে। আগের বছরগুলোর বিষয় হচ্ছে: বন্যা ও মরুভূমি, সীমানা ও বৈচিত্র্য, পরিবহন ও যোগাযোগ, শিক্ষাই ভবিষ্যৎ: শিক্ষার ভবিষ্যৎ কি।
এ ছাড়া অনলাইন বিষয়কে স্কুল শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত করে এতে উপস্থাপন করা হয়। এতে ইন্টারনেটের কারিগরি বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে বরং সম্মেলনের বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন সংস্কৃতির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করায় তারা অন্য সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গে সহনশীল আলাপনে অভ্যস্ত হয়।
প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসের দিকে সুবিধামতো একটি দিনে সম্মেলন পরিচালিত হয়। বিষয় আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়, যাতে অংশগ্রহণকারীরা এ বিষয়ের খানিকটা ধারণা আগেই নিয়ে রাখতে পারে।
এ সম্পর্কে নিজের বিশেষ ভাবনাকে গুছিয়ে প্রকাশের জন্য প্রথমে নিবন্ধন করতে হবে (www.agenda21now.org) এ ঠিকানায়। অংশগ্রহণকারীর ইমেইলে দেওয়া কনফারমেশন লিঙ্কে ক্লিক করে নিবন্ধন নিশ্চিত করতে হবে।
এরপর নির্ধারিত দিনে আগের ঠিকানায় লগইন করে সম্মেলনে সরাসরি অংশ নেওয়া যাবে। নিবন্ধনের পর নির্দিষ্ট ঠিকানায় ‘ইন্টারঅ্যাকটিভ’ পাতায় নিজস্ব মতামত ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা যোগ করতে পারবেন আগ্রহীরা।
কনফারেন্সের ভাষা শুধু ইংরেজি। কারণ ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা আর এতে করেই সবার সঙ্গে খুব সহজেই সংলাপ করা যায় সময়ের যে কোনো প্রাসঙ্গিক বিষয়ে।
বাংলাদেশ সময় ১৭০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর