বিশ্বের ৫৬টি দেশের সামাজিক যোগাযোগের শীর্ষ মাধ্যম এখন ফেসবুক। তবে প্রাইভেসির (ব্যক্তিগত গোপনীয়তা) শর্তে অর্থাৎ ব্যক্তি নিরাপত্তার প্রশ্নে ফেসবুক অনেক বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছে।
বয়সে তরুণ এবং শিশুদের জন্য ফেসবুক ব্যবহারবিধিকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনার জোর দাবি উঠেছে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাটর্নি জেনারেলস (নাগ) সভাপতি ডাফ গ্যান্সলার বলেন, ফেসবুকে ছবি এবং ভিডিওচিত্রের ব্যবহারবিধি প্রসঙ্গে অচিরেই প্রশিক্ষণ দিতে ফেসবুককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তরুণ এবং অভিভাবকদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রচারে আরও বেশি সচেতন করতেই এ উদ্যোগ নেবে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগে অবাধ তথ্যের অপপ্রয়োগ এবং হয়রানি নিয়ন্ত্রণে এ আইনি নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যান্সলার বলেন, প্রাইভেসি সেটিংসকে আর সুরক্ষিত এবং ভোক্তাবান্ধব করতে ফেসবুকের উদ্যোগে অচিরেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এতে সমাজে তথ্যের অবাধ প্রকাশ এবং অপপ্রয়োগ অনেকাংশেই কমে যাবে বলে অভিমত দিয়েছেন সামাজিক বিশ্লেষকেরা।
টুলস ছাড়াও ‘আস্ক দ্য সেফটি টিম’ ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে ফেসবুক-নিরাপত্তাকে সাধারণ ভোক্তাদের সামনে প্রশিক্ষণমূলকভাবে তুলে ধরা হবে। এ ছাড়াও ফেসবুকে ব্যবহারবিধি নিয়ে কয়েকটি টুলস প্রচারেও আইনি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় ফেসবুক এ নির্দেশ কতটা আমলে নেয়।
বাংলাদেশ সময় ১৯০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৩
সম্পাদনা: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর