ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অনলাইনেই দেশের পজিটিভ ব্র্যান্ডিং সম্ভব

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৩
অনলাইনেই দেশের পজিটিভ ব্র্যান্ডিং সম্ভব

দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনায় দারুণ ছাপ পড়েছে সবখানে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের সার্বিক বিনিয়োগ এবং ব্যবসা।



এ সময়ে আইসিটি টুলস হতে পারে পজিটিভ বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিংয়ের সবচেয়ে সক্রিয় মাধ্যম। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য ইউএস-বাংলাদেশ টেক ইনভেস্টমেন্ট সামিট প্রসঙ্গে এসব কথাই জানালেন বেসিস সভাপতি ফাহিম মাশরুর।

ভারত এবং ফিলিপাইনের তুলনায় সফটওয়্যার খাতে শ্রমমূল্য এবং কাজের দক্ষতার বিচারে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বাজার।

এ খাতে প্রবাসী এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অফুরন্ত সুযোগ আছে। এ জন্য দেশের পজিটিভ ব্র্যান্ডিং এবং ইন্টারনেট ব্যয়কে আরও কমিয়ে আনার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বেসিস উদ্যোগে এরই মধ্যে গবেষণাপত্র চূড়ান্ত করা হয়েছে। অচিরেই তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। ফলে দেশের ইন্টারনেট ব্যয় কমিয়ে আনার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এতে আউটসোর্সিং খাতে বাংলাদেশের আয় দ্বিগুণ হবে।

এ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ভিওআইপি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সফটওয়্যার তৈরি করে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। এদিকে বিখ্যাত ব্র্যান্ড স্যামসাং এখন বাংলাদেশে গবেষণা ও উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি ) কার্যক্রম শুরু করেছে। ফলে দেশে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের আবহ তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।

বাংলাদেশ এখন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা থেকে অনেকাংশেই মুক্ত। কারণ সিমিইউফোর কাটা গেলেও বিকল্প সাবমেরিনের সঙ্গে বাংলাদেশ এখন যুক্ত। ফলে অনলাইনভিত্তিক কাজে বাংলাদেশ খুব বেশি বাধার সম্মুখীন হবে না। তবে গতির প্রশ্নে কিছুটা বিপত্তি এখনও বিদ্যমান।

এ ছাড়াও দেশের মোবাইল গ্রাহক ১০ কোটি এবং ইন্টারনেট গ্রাহক ৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। দেশের ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ ভাগের বয়স ২০ বছরের নিচে। এ জনশক্তিকে প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত বলে বিবেচনা করছেন। এ মুহূর্তে এ তরুণ শক্তি দেশের সবচেয়ে ‘পজিটিভ ব্র্যান্ডিং’। এমনটাই বলেছেন দেশের বিনিয়োগ বিশ্লেষকেরা।

শুধু সফটওয়্যার নয়, সঙ্গে ই-সার্ভিস, ই-কনটেন্ট, ই-কমার্সই হবে নেক্সট বাংলাদেশের পরিচয়। অর্থাৎ আইসিটি খাতে দক্ষিণ এশিয়ার পরবর্তী বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন এগিয়ে। দেশের দক্ষ জনবলও এ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।

তবে সামাজিক যোগাযোগটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশের সফটওয়্যার খাতের পজিটিভ ব্র্যান্ডিং করতেই এ ধরনের সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এখন জরুরি বলে মনে করেন বেসিস মহাসচিব রাসেল টি আহমেদ।

এ প্রসঙ্গে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শামীম আহসান বাংলানিউজকে বলেন, দেশের ৫০ হাজার তরুণ এখন আউটসোর্সিয়ের ওপর নির্ভরশীল। বিখ্যাত মার্কেটপ্লেস ওডেস্ক এবং ইল্যান্সারে কাজ করে অনেকের আয় মাসে ২ হাজার ডলারের কাছাকাছি। ঘরে বসেই এ আয়ের সুযোগ দেশ এবং ব্যক্তি পর্যায়ের জন্য আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার মাধ্যম।

এদিকে সফটওয়্যার খাতে মাত্র দুবছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের আয় ১৬০ কোটি থেকে ৪০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। প্রবৃদ্ধির হিসাবে তা ৬০ ভাগেরও বেশি।

এ সম্মেলনে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, এ মুহূর্তে অগ্রণী ব্যাংকের ১২৩টি শাখায় অনলাইন সেবাভুক্ত। এ বছরের মধ্যেই এ সেবা দেশের ৫০০টি শাখায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সফটওয়্যার খাতে অগ্রণী ব্যাংক বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বিবেচনা করবে। এ জন্য বেসিসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে অগ্রণী ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময় ১৯১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।