ইন্টারনেটের বয়স ৪০ পেরিয়েছে। সাইবার আক্রমণ, মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট এবং নতুন মোবাইল অ্যাপলিকেশনের হাত ধরে আজ বিশ্বের অবিচ্ছেদ্য একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম।
আসছে ২০২০ সালে এটি হবে অপরিহার্য। অর্থাৎ বিশ্বের অধিকাংশ নাগরিকের কাছেই পৌঁছে যাবে ইন্টারনেটের সুফল। গুগল চেয়ারম্যান এরিক স্মিডও এমনই বক্তব্য ছুড়ে সারাবিশ্বে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন।
ব্যবসা, বিপণন এবং ভার্চুয়াল যোগাযোগ এ তিন পথই এখন ইন্টারনেটের দখলে। ইন্টারনেট অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের পুরো কার্যক্রমকেই শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করবে। গবেষকেরা এসব তথ্য ব্যাখ্যা দিয়েই সুস্পষ্ট করে চলেছেন।
এ মুহূর্তে বিশ্বের ১৭০ কোটি সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহক আছে। আর বিশ্বের জনসংখ্যা এখন ৬৭০ কোটি। তাই নিশ্চিতভাবেই ২০২০ সালের ইন্টারনেট জনসংখ্যা বিশ্বের মূল জনসংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। তখন মিডিয়াসহ সবই হবে অনলাইনে।
এ ভবিষ্যৎ ভাবনায় ২০২০ সালে ইন্টারনেট জনসংখ্যা হবে ৫০০ কোটি। দ্য ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন এ তথ্য দিয়েছে। সুতরাং অনলাইন কারিগরি শৈলীতে এটি বিশ্বের সামনে নব যুগের সূচনা করবে।
অনলাইনে গবেষকেরা বলছেন, ২০১০ সালের আগামী ১০ বছরে ইন্টারনেট বিশ্বের বিপ্লব সূচিত হবে। বিশ্বের উন্নত আর উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ক্রমেই ডিজিটাল বৈষম্য কমে আসবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের গাণিতিক প্রবৃদ্ধিতে আফ্রিকা ৬.৮, মধ্যপ্রাচ্যে ২৮.৩ এবং এশিয়া ১৯.৪ ভাগ এগিয়েছে।
২০২০ সালে বিশ্বের বহু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত হবে। এ জন্য মোবাইল ফোন হবে সবচেয়ে সক্রিয় মাধ্যম। আর ইন্টারনেট সংস্কৃতিতে বহু ভাষার অবাধ চর্চা হওয়ায় গ্রাহক সংখ্যাও বাড়বে।
শুধু স্থবির কম্পিউটার নয়, তারহীন ইন্টারনেট এবং স্মার্ট পণ্যের বদৌলতে বিশ্ব এখন তথ্য ও যোগাযোগের অপ্রতিরোধ্য সংযোগমাধ্যম। ইন্টারনেট সংযুক্ত আছে এমন কম্পিউটারের সংখ্যা এখন ৫৭ কোটি ৫০ লাখ। সিআইএ ফ্যাটবুক সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।
চৌম্বক আবহের নেটওয়ার্কের পিছু ছুটবে বিশ্বের ইন্টারনেট গতিপ্রকৃতি। এ নেটওয়ার্কে সংশ্লিষ্ট কারো দূরে সরে থাকা সত্যিই কঠিন হবে।
এদিকে ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে এখন সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের নিবন্ধিত গ্রাহক ৩৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে বাংলাদেশের সক্রিয় ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ১ লাখের কাছে। কিন্তু ২০১২ সালের শেষদিকে এসে তা ৮১ লাখের পেরিয়ে গেছে। জনসংখ্যার হিসাবে এ প্রবৃদ্ধি শতকরা ৫ ভাগ।
এ ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও ২০২০ সালে সফলভাবেই এগিয়ে যাবে। আর এ লক্ষ্যের পথ ধরে এগোবে ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্নও। নিশ্চিতভাবেই এ অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যম আয়ের দেশে তালিকাভুক্ত হবে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৩
সম্পাদনা:জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর