বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কমিউনিটি রেডিও ব্যাপক প্রসার এনেছে। এ মুহূর্তে ১৪টি কমিউনিটি রেডিওর প্রতিটিই ১৭ কিলোমিটারের মধ্যে সম্প্রচার করে থাকে।
স্থানীয় ডিএই অফিসের তথ্য অনুযায়ী বরগুনার রেডিও লোক বেতারের সম্প্রচার শুনতে পায় সাড়ে ৬ লাখ সাধারণ মানুষ। এদিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী সীতাকুন্ডের রেডিও সাগরের সম্প্রচার শুনতে পায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ জন। আর রাজশাহীর রেডিও পদ্মার তথ্য অনুযায়ী তাদের সম্প্রচার শুনতে পায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ।
এখন দেশজুড়ে ১৪টি কমিউনিটি রেডিও কার্যক্রম চলছে। এর মাধ্যমে প্রচারিত হয় বিনোদন, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়। স্থানীয় কৃষ্টি বিচারে এনে এ রেডিওগুলো স্থানীয় উচ্চারনে অনুষ্ঠান প্রচার করে বিবিধ গ্রামীণ সমাজের তথ্য এবং বিনোদনমূলক চাহিদা পূরণ করছে।
এ কমিউনিটি রেডিও স্টেশনগুলোর উন্নয়ন আরও জোরদার করতে অনেক ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে বিশেষ দলভিত্তিক আলোচনার (এফজিডি) মাধ্যমে এ রেডিওগুলো শ্রোতাদের চাহিদা চিহ্নিত করছে। এ অনুযায়ী অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
আরও মানসম্মত অনুষ্ঠান প্রচার এবং শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণের উদ্দেশ্য রেডিওর কর্মীরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান তৈরি এবং কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। শ্রোতার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণের মাঝে রেডিও স্টেশনের প্রচারের উদ্দেশ্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে।
রেডিও লোক বেতারের স্টেশন ম্যানেজার তারেক মাহমুদ বলেন, এ কমিউনিটি রেডিওগুলো বিশেষ করে গ্রামীণ জনগণের উদ্দেশ্য সম্প্রচার করে, সেহেতু গ্রামীণ বাজারে তথ্য প্রচারে এ রেডিওগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জনমাধ্যম। তারা শুধু তথ্য প্রচারেই নয় বরং পণ্য বিপণনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
প্রসঙ্গত, ভারত, নেপাল, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কমিউনিটি রেডিও সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আর বাংলাদেশের গ্রামীণ জনপদগুলোতেও একই রকম কমিউনিটি রেডিও সফলতা অর্জন করছে। রেডিওগুলোর আঞ্চলিক জনপ্রিয়তা অন্তত সে কথাই বলছে।
বাংলাদেশ সময় ১৭০৯ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর