ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কমছেই না ইন্টারনেটের দাম!

আইসিটি রিপোর্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৩
কমছেই না ইন্টারনেটের দাম!

ইন্টারনেটের দাম কমেছে। এমন বিজ্ঞাপন ও সংবাদ প্রচারে ভোক্তাদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন।

শনিবার সকালে সংগঠনের পুরানা পল্টনস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

একই সঙ্গে গ্রাহকদের স্বার্থ নিয়ে ছিনিমিনি না খেলতে বিটিআরসি ও অপারেটরদের আহবান করা হয়। সম্প্রতি কয়েকটি টেলিকম আপরেটর ‘পি১’ প্যাকেজের দাম কমিয়েছে বলে বিজ্ঞাপন ও সংবাদ প্রচার করে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

সভায় অন্যদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক আগা শামস মেহেদী, সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ টেলিকম সাবস্ক্রাইবার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শার্দুল আহমেদ সেনা, ব্লগার ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও আইসিটি অব বাংলাদেশ- ইয়াহু গ্রুপের মডারেটর এমএ কবির, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট শফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান তাফসীর, বায়েজিদ ইবনে হক, সাংবাদিক কামরুজ্জামান ও আরব আলী, সেলিম মোড়ল, জাহিদ হাসান মিন্টু, শেখ মোহাম্মদ জুয়েল এবং শাকিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, আন্দোলনের মুখে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। প্রকৃতপক্ষে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার বিটিআরসি নির্ধারিত প্রতি মেগাবাইট ১০ পয়সা এবং প্রতি গিগাবাইট ১০ টাকা হারে এবং ন্যূনতম গতি ৫১২ কিলোবাইট ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

এ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মাওলা ভুঁইয়া গত ৫ জুন তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে জানান, ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিসের দাম নির্ধারণ কস্ট মডিউল ছাড়া সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, একই দাবিতে গত ১২ জুন তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলন বিটিআরসি কার্যালয়ের সামনে লাগাতার গণঅবস্থান শুরু করলে বিটিআরসির কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন। ওই বৈঠকেও গোলাম মাওলা ভুঁইয়া ওই কস্ট মডিউলের অজুহাত দেখান। গোলাম মাওলা ভুঁইয়া জানান, আইএসপি/ অপারেটদেঁর কস্ট মডিউলের জন্য ১৫ জুলাই অবধি সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপরই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কস্ট মডিউল পেলে ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যহার ঘোষণার জন্য বিটিআরসির এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়। বিটিআরসির কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করবেন না বলেই আশা করি।

জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, এ মুহূর্তে গ্রামীণফোনের ‘পি৩’ প্যাকেজে ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ৫০ টাকার কম। এদিকে টেলিটক থ্রিজি ‘ডি১২’ প্যাকেজে গ্রাহকের ১ গিগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ ২০ টাকার কম।

বর্তমানে আইএসপির জন্য প্রতি ১ সেকেন্ডে ১ এমবিপিএস হারে মাসের ব্যান্ডউইথের মূল্য ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ৪ হাজার ৮০০ টাকা করা হয়েছে। বিটিআরসি থেকে ঘোষিত ভোক্তা পর্যায়ের নতুন মূল্যহারে অবশ্যই ওই অনুপাতে নির্ধারণ করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জুলীয়াস চৌধুরী জানান, প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারবে না বিধায় আমরা আনলিমিটেড প্যাকেজ চাই না। আমরা বিটিআরসিকে লিখিতভাবে বলেছি আইএসপিগুলো ভোক্তা পর্যায়ে দুটিমাত্র প্যাকেজ বিক্রয় করতে পরবে।

একটি ১ মেগাবাইট প্যাকেজ। অন্যটি ১ গিগাবাইট প্যাকেজ। আইএসপিগুলো তাদের ব্যবসার প্রসার ও প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে সর্বাধিক গতি, নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ, সহজ ব্যবহার ও উন্নত ভোক্তা সেবার মান নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

এ আন্দোলন ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য নয়। এখানে দাম নির্ধারণের কথা বলা হচ্ছে। আর তা যুক্তিসঙ্গত হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোনো নতুন অসঙ্গতি হলে এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা না হলে এ আন্দোলন আরও জোরালো করা হবে বলে জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি আন্দোলনের সংগঠন।

বাংলাদেশ সময় ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর/জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।