ই-বাণিজ্য প্রদর্শনী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক। এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শনার্থীরা ঘরে বসেই কেনাকাটাসহ বিভিন্ন সেবা কিভাবে পাবেন তা জানা যাবে।
এ ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, প্রসার বাড়াতে সরকার নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। সাধারণের কাছে কম্পিউটার পৌঁছে দেওয়া, বাংলাতে ই-কনটেন্ট তৈরি, ই-বুক প্রকাশসহ নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে শিক্ষার্থীদেরকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার অবশ্যই জানতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় কম্পিউটার না জানলে ভবিষ্যতে চাকরি হবে না।
তথ্যমন্ত্রী আজ (শনিবার) চট্রগ্রামে অনুষ্ঠিত ঈদ ই-বাণিজ্য প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কমপিউটার জগৎ এর উদ্যোগে ঢাকা ও সিলেটে ই-বাণিজ্য প্রদর্শনী সম্পন্ন করার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে এ প্রদর্শনী শুরু হয়।
‘ঘরে বসে কেনাকাটার উৎসব’ বার্তা নিয়ে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়ামে অনুষ্ঠিত এ প্রদর্শনীর আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসন। সার্বিক সহযোগিতা করেছে মাসিক ‘কমপিউটার জগৎ’।
চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক মো: আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্রগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, এস আলম গ্রুপের এজিএম কামরুল ইসলাম ও চট্রগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরে। এ প্রদর্শনীতে মোট ৫২টি স্টলে ৫১টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে।
এ প্রদর্শনী উপলক্ষে পণ্য ও সেবা ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুযোগ যেমন ছিল, তেমনি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতেও নানা আয়োজন ছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ক্রয়ে ছাড় ও উপহারের ঘোষণা দিয়েছে।
এ ছাড়া প্রদর্শনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.e-commercefair.com) থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যাবে। তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানাদি (www.comjagat.com) সাইটে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ১৮৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৩
সম্পাদনা: সাব্বিন হাসান