ঢাকার রেডিসন হোটেল থেকে: বিশ্বজুড়ে এখন নিজের পণ্য ব্র্যান্ড করার প্রতিযোগিতা চলছে। ক্রেতার পণ্যের কাছে নয়, বরং পণ্যকেই ছুটতে হচ্ছে ক্রেতার কাছে।
বিশ্বেব সব দেশেই ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ছে। সঙ্গে বাড়ছে ইন্টারনেটের বহুমুখী ব্যবহার আর ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার। এখন পত্রিকার বিজ্ঞাপনকে গতানুগতিক (ট্রেডিশনাল) বিজ্ঞাপন বলা হচ্ছে। বিপরীতে দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেছে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজার।
আনন্দ তিলক জানালেন, এখন শুধু পণ্য নিয়ে হাজির হলেই চলে না। এখন ক্রেতাকে পণ্যের ব্যবহারিক যোগ্যতা তুলে ধরতে হয়। কখন, কিভাবে ক্রেতাকে পণ্য সম্পর্কে অবহিত করতে হবে এ বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। একে ‘কনজিউমার বিহেভিয়ার’ বলা হচ্ছে।
এ ছাড়াও পণ্যকে সার্চ ইঞ্জিনের আওতায় আনতে হবে। শুধু সার্চ সেবাকে পূঁজি করে গুগল ইন্টারনেট দুনিয়ার নিয়ন্ত্রক বনে গেছে। এ জন্য খুব বেশি সময় দিতে হয়নি গুগলকে। ভবিষ্যতের যে অসীম বাজার তৈরি হয়েছে তা নিয়েই এখন কাজ করছে গুগল।
এ জন্য ইমার্জিং এশিয়ার প্রতি বিশ্বের প্রতিটি আইটি ব্র্যান্ডের নজর। এ থেকেই প্রমাণিত হয় ডিজিটাল বাজারে বাংলাদেশের কদর আছে। এমনকি আন্তর্জাতিক বাজারেও দেশি পণ্যের বাজার চাহিদা এবং বিপণনে অনলাইন বিজ্ঞাপনের কোনো বিকল্প এখন নেই।
অ্যানড্রইড অ্যাপের কারণে যে কোনো পণ্যকেই এখন কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং ট্যাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এ কারণে এর প্রতিটি পণ্যকেই গ্রাহককে পণ্য সম্পর্কে অবহিত করার সুযোগ থাকছে।
আসছে ২০১৫ সালের বিশ্বে ৪১ হাজার কোটি ডলারের বিপিও (বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং) বাজারে বাংলাদেশের সম্ভাবনা এখন অসীম। আর এক্ষেত্রে ইন্টারনেটনির্ভর গণমাধ্যমগুলো দ্রুতই ব্যবসা সফল হয়ে উঠবে। এমনটাই মনে করছেন বেসিস আয়োজিত আইটি মার্কেটিং সম্মেলনের বক্তারা।
বাংলাদেশ সময় ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৩